প্রথম সন্তান জন্মানোর সময় আমার সিজার করতে হয়। আমার সিজারের তখন ৪০ দিন ও হয় নি।এক রাতে ফোনে ও একটি মেয়ের সাথে গল্প করছিলো। আমি ওর হাত থেকে তখন ফোনটা কেরে নিতেই ও আমার সিজারের জায়গায় সজোরে লাথি মারে। আমাকে প্রচুর মারধোর করে ঐ অবস্থায়। এভাবেই নিজের নির্যাতনের কাহিনী বর্ননা করে ক্রিকেটার শহীদ এর স্ত্রী ফারজানা আক্তার।
এখানেই শেষ নয়। ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখে সেগুন বাগিচার বারডেম জেনারেল হাসপাতালে কন্যা সন্তান প্রসব করেন ক্রিকেটার শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার। শহীদ তখন মিরপুর একাডেমিতে ছিলেন। কিন্তু একবার ও তিনি সন্তানের মুখ দেখার জন্য হাসপাতালে আসেন নি।
ফারজানা বারডেম হাসপাতালের ২০২ নং কেবিনে ডা: রুনা লায়লার তত্বাবধানে চিকিতসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তাকে ১৪ দিন থাকতে হয়। এই সময় ফারজানার সাথে ছিলেন তার মা ও শাশুড়ি। ১৪ দিনে একবারের জন্য ও আসেনি শহীদ।
আত্মীয় স্বজনরা জানান , হাসপাতালের মোট বিল আসে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। বিলের এক টাকা ও পরিশোধ করেনি শহীদ। উপায় না দেখে ফারজানা তার স্বর্ন নারায়নগঞ্জের এক স্বর্নের দোকানে বন্ধক রেখে হাসপাতালের বকেয়া বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করান।
ছয় বছরের সংসার জীবনে শহীদ ফারজানার দুই সন্তান। প্রথম ছেলে সন্তান হবার পর তিনি খুশি ছিলেন। দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হবার পর ই ফারজানার উপর নির্যতন শুরু করে শহীদ।
ফারজানা বলেন, প্রথম প্রথম শহীদ এমন ছিলো না ও আমাকে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু দিন যতো পার হতে লাগলো বদলাতে শুরু করলো ।
শহীদের স্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমে যখন শহীদের ডেব্যু হয় তখন ও স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রাখে।কেন গোপন রাখলো আমি এমন প্রশ্ন করাতে ও উত্তর দেয় ওর ক্যারিয়ারে সমস্যা হবে তাই গোপন রেখেছে।
এদিকে সব অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করছেন পেসার মোহাম্মদ শহীদ। তিনি বলেন আমার স্ত্রীর সব অভিযোগ ই মিথ্যা। এক হাতে তো আর তালি বাজে না। আমার স্ত্রীর অনেক দোষ আছে।
ফারজানার বাবা বলেছেন বর্তমানে আমার মেয়ের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে বিচার চাই । তিনি ও একজন নারী। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার করবেন । আমি তার কাছে সঠিক বিচারের দাবী জানাই।