দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা, স্বপ্ন , প্রয়োজন অনেকের ই থাকে। কেউ পড়াশোনা করতে দেশের বাহিরে যায়। কেউ ব্যবসার প্রয়োজনে দেশের বাহিরে যায়। কেউ ভ্রমনের জন্য যায়। কেউ যায় চিকিৎসার জন্য, কেউ যায় জীবনের তাগিদে বেচে থাকার প্রয়োজনে। যে কোন কারনেই যাওয়া হোক না কেন , প্রথমেই প্রয়োজন একটা পাসপোর্ট। অনেকেই ঝামেলা মনে করে এই প্রয়োজনীয় কাজ টি করতে চাই না। কিন্তু অনেক সময় ই প্রয়োজনের সময় পাসপোর্ট না থাকার কারনে পড়তে হয় নানা রকম বিড়ম্বনায়।
অনেকেই আবার ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করান। দালালের মাধ্যমে প্রতারিত হন অনেকে। অনেক ক্ষেত্রে দালাল আবার রেখে দেয় অনেক বেশি টাকা। কিন্তু পাসপোর্ট করা অনেক সহজ। সঠিক ধারনা বা পদ্ধত্বি না জানার কারনে আমরা এটাকে অনেক কঠিন মনে করে থাকি। আপনি চাইলে ঘরে বসেই অনলাইনে অনেক কাজ করে নিতে পারেন।
জেনে নিন পাসপোর্ট করার সহজ পরামর্শ:
সবার আগে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। কারন অনলাইনে আবেদন ফর্মে ঐ ব্যাংকের রশিদ নাম্বার এবং জমার তারিখ লিখতে হয়। এক মাসেক পাসপোর্টের জন্য ৩০০০ টাকা এবং ১৫ দিনের পাসপোর্টের জন্য ৬০০০ টাকার সাথে ১৫% ভ্যাট নির্ধারিত ব্যাংক গুলোতে জমা দিয়ে রশিদ নিতে হবে।
ফর্ম পূরণ
bangladesh machine readable passport online application http://www.passport.gov.bd । এই সাইটে যেতে হবে।
শর্তগুলো দেখে নিচে থাকা এক্সেপ্ট বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার স্ক্রিনে একটি ফর্ম পেজ চলে আসবে। এখানে প্রতিটি ঘরে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। খুব সাবধানে নির্ভুল ভাবে ফর্ম পূরন করুন। নামের বানানগুলো শিক্ষা সনদ , এন আই ডি বা জন্ম সনদের সাথে মিলিয়ে নিন। স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানার ঘর যত্ন সহকারে পূরণ করুণ। এক্ষেত্রে দুই ঠিকানা এক স্থানে হলেই ভালো হয় এতে পুলিশ ভেরিফিকেশান এক জায়গাতেই হয়। আপনার ইমেল আইডি এবং ফোন নাম্বারের ঘরে ঠিকভাবে তথ্য দিন। প্রতিটা তথ্য যাতে নির্ভুল থাকে এই জন্য বারং বার চেক করুন।
৩০ দিনের জন্য হলে রেগুলার মার্ক করুন এবং ১৫ দিনের জন্য হলে এক্সপ্রেস মার্ক করে দিন। সব তথ্য ঠিকঠাক মতো চেক করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।
এবার নতুন একটা পেইজে আসবে এই খানে আপনার টাকা জমার রিসিট নাম্বারসহ তারিখ দিন। সবশেষে চেক করে সাবমিট করুন।
পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে একটা ফিরতি মেইল দেয়া হবে। ফিরতি মেইলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কত তারিখের মধ্যে আপনি ফর্ম জমা দিতে এবং ছবি তুলতে পারবেন।
এবার মেইল-এ আসা ফরমটি দুই কপি প্রিন্ট করে ছবি লাগিয়ে,প্রথম শ্রেনীর গেজেটের কর্মকর্তা বা স্থানীয় চেয়ারম্যান দিয়ে সত্যায়িত করুন। প্রয়োজনীয় কাগজ( ভোটার আইডি কার্ড, স্থানীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটের কপি) নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে ছবি তুলে আসুন।
নির্ধারিত দিনে ফরম জমা, ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর অফিস থেকে আপনাকে একটি রিসিট দেবে পাসপোর্টে গ্রহনের জন্য। সেখানে একটি সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ থাকে। পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে, পাসপোর্ট রেডি হয়ে গেলে আপনাকে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এবার আপনার কাছে থাকা রিসিটটি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলেই আপনি পাবেন সেই কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্ট।