ধর্ষনের স্বীকর হচ্ছে একের পর এক আমাদের সমাজের নিরীহ নারীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষন কারীরা সমাজের প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কেউ কিছু করতে পারে না। ধর্ষন কারীদের যদি সঠিক বিচার করা হতো তা হলে আমাদের সমাজে ধর্ষন নামক শব্দটা দিন দিন অনেক লোপ পেত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন দেশের সাধারন জনগনের।
গত ২৮ শে মার্চ দুই তরুনীর ধর্ষনের পর ধর্ষনকারীদের এখনো ধরা যায় নি । তাই সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে জানতে চায় ধর্ষন কারীদের কবে ধরা হবে ?
রাজধানীর ” দ্যা রেইন ট্রি ” নামক একটি বিলাসবহুল হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দু জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কে রাত ভর আটকে রেখে মারধর সহ ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া যায় । ৬ মে রাতে এই এই অভিযোগে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় আসামিরা হলেন সাফাত (২৬), নাঈম আশরাফ (৩০), সাদমান সাফিক (২৪), বিল্লাল ( ২৬) এবং আরেক জন সাফাতের দেহ রক্ষী ।
এদের মধ্যে সাফাত হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক জনাব দিলদার হোসেনের ছেলে, এবং নাঈম আশরাফের বাবা একজন ঠিকাদার এবং সাদমান সাফিক হলেন পিসাকো নামের একটি রেস্তোরার মালিকের ছেলে । এদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সাদমান সাফিক একটি টেলিভিশন স্টেশনে কর্মরত আছেন ।
ধর্ষিতাদের মধ্যে এক জন অভিযোগে বলেন প্রায় ২ বছর ধরে সাদমান কে সে চেনেন এবং এই ঘটনার ১০ – ১৫ দিন আগে মেয়েটির সাথে পরিচয় হয় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের সাথে।
পরিচয়ের কিছু দিন পরই মেয়ে টি একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পায় যা ছিলো সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। এ জন্মদিন ছিল একটি সাজানো নাটক। এই ভুয়া জন্মদিনে যাওয়ার পরই তাদের দু জনকে একটি রুমে নিয়ে জোর করে মদ পান করিয়ে একাধিক বার ধর্ষন সহ ধর্ষনের ভিডিও ধারন করা হয়।
পরে তাদের কে ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের বাসায় গিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদেকে ফ্যামিলিকে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে । মামলা দায়ের করার পর মেয়ে দুটি কে মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নিয়ে যাওয়া হয় এবং ৫ জনের একটি মেডিকেল টিম গঠন কর। তাদের দুজনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন পেতে ১৫ – ২০ দিন সময় লাগবে জানিয়েছেন মেডিকেল টিমে থাকা একজন চিকিৎসক । এদিকে বেশ কয়েকবার অসামীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ও তাদের গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ।
আরও পরুন : ধর্ষককে ধরিয়ে দিতে কঠোর ভাবে নির্দেশ দিলেন……….
মো: মাসুদ।
নিউজ ঢাকা ২৪ ডটকম।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে