ইখতিয়ার উদ্দীন তপু ,খুলনাজেলা প্রতিনিধিঃ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে কয়রা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন সহ মোট ১৮ জন প্রার্থী উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১ জন ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ২ জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে এসব প্রার্থী নিজেদের বিদ্রোহী বলতে রাজী নন। তারা নিজেদের স্বতন্ত্র বলে দাবি করেছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ৮ জন এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের ১ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে বিএনপি ঘরনার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামাত সমর্থীত বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানও রয়েছেন। সোমবার, ৪ মার্চ সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খুলনা জেলা রিটার্নিং অফিসার এডিসি জিয়াউর রহমান এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহার হাতে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জি এম মোহসিন রেজা, বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম এবং আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে অলিউর রহমান খোকা, লুৎফর রহমান মোল্লা, এ্যাড. আবু জাফর, এ্যড. কমলেশ চন্দ্র সানা, এ্যাড. আরাফাত হোসেন, আঃ হালিম, মোশারাফ হোসেন, জিএম মুনসুর আহমেদ, এবং বিএনপি নেতা ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আঃ রশিদ।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- সাকিনা কবির, হাসিনা পারভীন, রুবিয়া খাতুন, নাহার পারভিন এবং বিএনপি মনোনিত সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম এবং জামাত সমর্থীত বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার। এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যহতি নেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করেন।
এদিকে দলের প্রার্থীর বাইরে একাধিক বিদ্রহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে খুলনা জেলা আ’লীগের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, বিএনপির নির্বাচনে না আসায় দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বরং যে প্রার্থীই জিতবে সে হবে আওয়ামী লীগেরই। এ কারণে আপাতত বিদ্রোহের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না তারা। উল্লেখ্য, আগামী৩১ মার্চ ৪র্থ ধাপে অত্র উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ৪ঠা মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ৬ই মার্চ ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৩ই মার্চ।