স্ত্রী

স্ত্রীকে ‘আপু’ ডাকলে কি বিয়ে ভেঙে যাবে?

প্রশ্ন: আদর করে বা ভুলে স্বামী স্ত্রীকে আপু বা বোন বললে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা আছে কি না? এবং এতে বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে কি না?

উত্তর: স্ত্রীকে বোন বলে সম্বোধন করা ঠিক নয়। কেননা হাদিস শরীফে এ থেকে নিষেধ করা হয়েছে।

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বললো, হে আমার বোন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে কি তোমার বোন? তিনি তার এ রকম সম্বোধনকে অপছন্দ করলেন এবং এ রকম সম্বোধন করতে নিষেধ করলেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২২০৪)

এ হাদিসের আলোকে ফকিহরা বলেছেন, স্ত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করা মাকরুহ। (আদ্দুররুল মুখতার: ৩/৪৭০)

তাই স্বামী স্ত্রীকে বোন, আপু ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকবে, স্ত্রীও স্বামীকে ভাই, ভাইয়া ইত্যাদি সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকবে।

সুতরাং এমন সম্বোধন থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে এ কারণে বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না।

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে এমন শব্দ বা নামে ডাকা সমীচীন যা থেকে স্বাভাবিক সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়, অসম্মান প্রকাশ না পায়। তারা পরস্পরকে সন্তানদের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকতে পারে। নাম ধরেও ডাকতে পারে যদি তা তাদের সংস্কৃতিতে অপমানসূচক না হয় এবং কেউ অপমান বোধ না করে।

আরবের সংস্কৃতিতে স্ত্রীকে ও স্বামীকে নাম ধরে বা সন্তানের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকার প্রচলন ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন আল্লাহর রাসুল ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা এবং শিশু পুত্র ইসমাইলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তার স্ত্রী তাকে ডেকে বললেন, হে ইবরাহিম, তুমি আমাদের এমন জনমানবহীন উপত্যকায় রেখে কোথায় যাচ্ছ? (সহিহ বুখারি: ৩৩৬৫)

তবে কোনো অঞ্চলের সামাজিক সংস্কৃতিতে স্বামীর নাম ধরে ডাকা সম্মানজনক না হলে এবং স্বামী পছন্দ না করলে নাম ধরে ডাকা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কোনো সম্মানজনক শব্দে তাকে ডাকতে হবে।

আরোও পড়ুনঃ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

Check Also

হজ শেষে দেশে ফিরলেন

হজ শেষে দেশে ফিরছেন ২৮ হাজার ৯৪১ হাজি, মৃত্যু ৫৪ বাংলাদেশীর

পবিত্র হজ পালন শেষে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৯৪১ হাজি দেশে ফিরেছেন। হজে গিয়ে মারা …