ভোট দিতে পারবেন না খালেদা জিয়া

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহ যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা রয়েছেন তাদের কেউ ই নির্বাচনের দিন ভোট দিতে পারবেন না।

শুধু তরা নয়, এমনকি কারাবন্দি সাধারণ ভোটাররাও ভোট দিতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী এমনটাই জানান। তিনি বলেন, ‘কারাবন্দিদের জন্য ভোট দেওয়ার কোন ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’ কার কতৃপক্ষ থেকে জানা  গেছে, বর্তমানে কারাবন্দি প্রায় ৮০ হাজারের কাছাকাছি। তাদের কম বেশি সবাই ভোটার  ।

নির্বাচন কমিশনের সুত্র মতে, এবারের নির্বাচনে বিএনপির ১৫ জন প্রার্থী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা করার সময়  মিছিল বা বাড়ি থেকে অথবা অন্য স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নাশকতার বিভিন্ন মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া , জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে  কারাগারে আছেন।   জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকার কারনে তিনি ও ভোট দিতে পারছেন না।

নিউ্জ ঢাকা ২৪।

 

কেরানীগঞ্জে ভুয়া পুলিশ।

ভুয়া পুলিশ সেজে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়ে শ্রীঘরে গেলেন দুই ব্যাক্তি। আটককৃত দুই ব্যাক্তি হচ্ছে :  ঢাকা জেলা ধামরাই থানার বালিয়া গ্রামের মোজাহার আলী খান মজলিসের ছেলে নাঈম আলী খান (৪৫) ও একই থানার চোহাট গ্রামের মোঃ মান্নান মিয়ার ছেলে মোঃ আইয়ুর মিয়া (৪৭)।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিসের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার হলে। পরে আটককৃতদের বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এর আদালতে হাজির করা হলে , তিনি আটককৃত দুই ভুয়া পুলিশের জবানবন্দীতে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক মোঃ রাফিক আল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুইজন পরিক্ষার্থী পুলিশের পোষাক পড়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে পরীক্ষার হলে বাড়তি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করার জন্য পায়তারা করছে।

এসময় তাদের আচার আচরন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। ওই দুই পুলিশকে লিখিত পরিক্ষার পর তাদের ডেকে পুলিশের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র দেখাতে পারেন নাই। বরং তারা আমাদের সাথে উচ্চ বাচ্চ শুরু করেন, তখন আমরা তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার হুমকী দিলে তারা জানান, তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষার্থী। পুলিশের পোষাক পড়ে এসেছে যাতে পরীক্ষার মধ্যে তাদের পুলিশ ভেবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।

Check Also

ছাত্রলীগ

র‍্যাবের জালে ধরা পড়লো ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর সশস্ত্র আক্রমণ ও বিস্ফোরক মামলার অন্যতম প্রধান আসামী দক্ষিণ …