মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বাতিঘর ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালির হৃদয়কে নতুনরুপে সাজিয়েছিল এবং সকল বন্ধুর পথকে মসৃণতা আনতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। ৭ই মার্চ আজকের এই দিনে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী মাঠে লক্ষ লক্ষ জনতার ভিড়ে, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ বজ্রকন্ঠদিপ্ত ভাষণ হৃদয়ে দোলা দিয়ে ওঠেছিল। বন্দুকের নলের মুখের সামনে দাঁড়িয়ে খুব কৌশলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
সেদিনের প্রায় ১৯ মিনিটের ভাষণ আজো শুনলে আমাদের গায়ের লোম এমন তীক্ষ্ণতর হয়ে ওঠে, যেন পাকবাহীর পৃষ্ঠদেশ ভেদ করে যাবে। এই ঐতিহাসিক দিনটি প্রতি বছর সম্মানের সহিত, শ্রদ্ধার সহিত পালন করলে আমাদের তরুণ সমাজকে আরো মুজিবপ্রেমী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানবোধ শেখাতে ভূমিকা রাখবে।
প্রতি পরিবারে, প্রতি সেক্টরে ৭ ই মার্চ এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা। যারা প্রকৃত ইতিহাস জানে না তাদেরকে জানানো। তরুণরা যাতে প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে সে ব্যবস্থা করা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রকৃত সম্মানবোধই পারে আমাদের ইতিহাসকে সমন্বিত রাখতে। বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে আমাদের সবার জানা উচিত। জীবন সায়াহ্নে বঙ্গবন্ধু একজন আদর্শ পুরুষ ছিলেন এই বঙ্গে। তাঁর জীবনরেখা সব সময় সরল ছিল না।
দীর্ঘ সময় কারাগারের নির্মম বেড়ীর আবদ্ধে শিকল বন্দি ছিলেন। যখনি ছাড়া পেয়েছিলেন আবার দেশমাতৃকার সেবাই এগিয়ে এসেছিলেন। অনেকটা বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছি এই মহান নেতার। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর ছিলেন পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ ই মার্চের ভাষণ ইতিমধ্যে বিশ্ব ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর তেজোদিপ্ত ভাষণের প্রতিটি শব্দ বলে দিচ্ছিল সামনে কি ঘটতে যাচ্ছে। ঠিক তাই ঘটেছিল সমস্ত বাঙ্গালী এক হলো। জীবন যৌবনের মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লেন। অবশেষে বিজয়ের নিশান নিয়ে ফিরে এলেন। এবং আমরা স্বাধীন হলাম। এজন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন সকল শহীদদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন আমিন।
মোঃ সাকিবুল হাসান
ছাত্রলীগ নেতা ও সভাপতি, যশোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, জবি।