নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফের এক সাবেক কৃষকলীগ নেতার নামে সমুদয়সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় মা-বাবাকে নির্যাতন করে এক পর্যায়ে পিতাকে খুন করার উদ্দ্যশ্যে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে।
হোয়াইক্যং ইউপির ঝিমংখালী ৬নং ওয়ার্ডের কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারের সাথে জড়িত,তার অপরাপর ভাইয়েরা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস এবং একমাত্র ছোট ভাই পড়ালেখার উদ্দেশ্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অবস্থায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভাইদের পাঠানো টাকা এবং পিতা মাতার সম্ত সম্পত্তি নিজেই ভোগদখল করে ইচ্ছে মতো মাদক সেবন এবং বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল।ভাইয়েরা বিদেশ থেকে চলে আসার পর মাদক ও অনৈতিক কাজের টাকার যোগান কমে গেলে তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে দেওয়া অথবা বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে।
জানা গেছে, মাদক আসক্ত কামাল মাদকের টাকা না পেয়ে মা-বাবাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার বাবার সমুদয় সম্পত্তি তার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য জোরাজোরি করে। না দেয়ায় তার আশি (৮০) উর্দ্ধ পিতা আবুল কাশেমকে খুন করার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম করে।
বিষয়টি টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিতা আবুল কাশেম বাদী হয়ে একটি সি আর মামলা দায়ের করেছেন। যার নাম্বর ৩৫৬/২৩ইং।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
আসামী কামাল হোসেন একজন মাদকাসক্ত ব্যাক্তি। তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি তার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পিতা-মাতাকে মারধর ও নির্যাতন করে আসিল বলে জানা গেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০সাল থেকে একাধিকবার পিতা মাতাকে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করে আসছিল,একপর্যায়ে বিগত ২৬/০৩/২০২৩ইং তারিখে সম্পত্তি লিখে দেওয়া অথবা সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য ৮০ বছর বয়স্ক পিতাকে মারধর করে এবং ৭০বছর বয়স্ক মাকে নির্যাতন করে মায়ের ২ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও পিতার চিংড়ি ঘের জোরপূর্বক দখলে নিয়ে নেয়।
বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান শালিস বিচার করে দিলে আসামী তার অপরাধ স্বীকার করে নেন এবং মায়ের স্বর্ণ ফেরত দেওয়র অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে কামাল হোসেন গত ১ /০৮ / ২০২৩ ইং তারিখে পুনরায় একই কারণে তার বাবাকে ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে এবং বাড়ীঘর ভেঙ্গে ফেলে পিতা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ কল করিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুত্রের কবল থেকে পিতাকে রক্ষা করে।
মামলার পর ও অভিযুক্ত ছেলে বাদী এবং স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে দেখা নেওয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকে এবং নিজের স্ত্রীকে দিয়ে ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকে।মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য স্ত্রীকে প্রাকশ্যে মারধরের একটা ভিডিও ক্লিপ হাতে রয়েছে। এই রকম কুখ্যাত মাদকাসক্ত সন্তানের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য পিতা মাতা উভয়েই প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।