রাইসুল ইসলাম রিফাত (শেরপুর প্রতিনিধি): পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সচিবালয়ে হেনস্তা ও শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদ এবং এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনাসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শেরপুরের নকলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) নকলা থানার সামনে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনের সাথে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একাত্মতা ঘোষনা করেন।
নকলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য আলহাজ্ব মহবুবর রহমান, আব্দুর রফিক, মো. ফারুকুজ্জামান ও মোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কবি সংঘ বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট কবি কলামিষ্ট তালাত মাহমুদ, নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সিমানুর রহমান সুখন, নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, রক্ত সৈনিক বাংলাদেশ নকলা শাখার সাধারন সম্পাদক মকিব হোসেন মামুন, নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থার সভাপতি আসাদুজ্জামান সৌরভ, বিডি ক্লিন নকলা শাখার পক্ষে মোকছেদুল মমিন, নকলা যুবশক্তির সভাপতি রেজাউল হাসান সাফিত, ছাত্র কল্যান ফেডারেশন শেরপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, রোজিনা ইসলাম সৎ, মেধাবী ও সাহসী অনুসন্ধানী একজন সাংবাদিক। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী নিউজ করার কারণেই তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছেন বলে তারা মন্তেব্য করেন। তিনি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত রাঘব বোয়ালদের দুর্নীতির চিত্র উন্মোচন করে দেশের উন্নয়নে দৃঢ প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকরা আরও বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রোজিনাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আরও নিন্দনীয়।
এসময় তার স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম ও তার সহযোগি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানায়।