ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যাক্তিগত সুবিধার জন্য ভাঙা হয়েছে সরকারি সেতুর কিছু অংশ। এতে করে ঝুকির মুখে পরেছে সেতুটি। ঘটনাকি কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর জিলা পরিষদ মার্কেট এলাকায় ।
রবিবার সরেজমিন কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লীর কালিগঞ্জ জিলা পরিষদ রোডে গিয়ে দেখা যায়, শুভাঢ্যা খালের ওপর জিলা পরিষদ মার্কেট ঘেষে দাড়িয়ে আছে একটি সেতু। সেতুটি অনেক আগেই নির্মান করা হয়েছিলো। সেতুা এক পারে জিলা পরিষদ মার্কেট, অপর পারে রয়েছে নুরু সুপার মার্কেট। নুরু সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি দোকন থেকে সুবিধাজনক ভাবে নামার জন্য সেতুর হাতল ভেঙে নামানো হয়েছে একটি ব্যাক্তিগত সিড়ি। সিড়িটি নির্মান করা হয়েছে ২ বছর আগে। এতো দিন তেমন সমস্যা না হলেও এখন সেতুর যে স্থানে হাতলটি ভাঙা হয়েছে সেখানে আস্তে আস্তে বড়ো ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ভাঙা স্থানে বড়ো ফাকার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি।
স্থানীয়দের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দোকান মালিক নিজের সুবিধার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর মালিক সমিতির আগের কমিটিকে ম্যানেজ করে এই কাজটি করেছিলো। এতোদিন তেমন সমস্যা না হলেও এখন ধীরে ধীরে ভাংগা অংশের পাশে ফাকা অংশ তৈরী হচ্ছে। এবং ফাটলটি দিন দিন বড়ো হচ্ছে।
মো: আবু মনসুর নামে স্থানীয় এক এলাকাবাসী জানান, এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের চলাচল। একটা লোক তার ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য এভাবে সেতুর একটা অংশ ভেঙে ফেললো এটা কল্পনাতীত। অবশ্যই প্রশাসনের লোক জড়িত। না হলে যে কেউ সরকারি সম্পদে হাত দেয়ার সাহস করবে না। এর দ্রুত বিচার হওয়া উচিত।
হাজী মো: কাসেম নামে অপর একজন বলেন, দ্রুত এর একটা ব্যবস্থা করা দরকার, এভাবে যে কেও চাইলেই রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করতে পারে না। এখানে যাদের হাত আছে যাদের কে ম্যানেজ করে এই কাজ করা হয়েছে, সকলের বিচার হওয়া দরকার। আর দ্রুতই সেতুর ভাঙা অংশ মেরামত করা দরকার।
সেতুর হাতল ভেঙে সিড়ি নির্মানে সেতু কতৃপক্ষ অথবা উপজেলা প্রশাসনের কারো অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোকান মালিক মো: কাওসার বলেন, এটা তো মালিক সমিতির আন্ডারে, মালিক সমিতি সব জানে। আপনি মালিক সমিতির সাথে কথা বলেন, আমাকে প্রশ্ন না করে সমিতিতে জিঞ্জেস করেন, সব পেয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি স্বাধীন শেখ বলেন, সিড়িটি নির্মান করা হয়েছিলো ২/৩ বছর আগে, তখন আমি সমিতির সাধারন সম্পাদক ছিলাম। কে কি করেছে বলতে পারি না, তবে আমি বাধা দিয়েছিলাম সেতুর অংশ ভেঙে সিড়ি নির্মানে। কারন এটা সরাকারি সম্পদ। কিন্তু তারা আমার কথা শুনে নি। দোকানদার প্রভাব খাটিয়ে সিড়ি নির্মান করেছে। সিড়িটা এখানে থাকলে সেতুর ক্ষতি হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো যেন সিড়িটি এখান থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, সরকারী অনুমতি ছাড়া ব্যাক্তিস্বার্থে যে কেও চাইলেই এমন করতে পারে না। আমরা অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে নোটিশ করবো। ব্যাপারটি আমি এখন জানলাম, ঘটনা স্থলে আমার লোক পাঠাচ্ছি এবং উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি।#