অপূর্ব চৌধুরী: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা উপস্থিত হবার এক ঘন্টা পর অনুষ্ঠানস্থলে এসেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। ফলে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের। এতে করে অনুষ্ঠান শুরুতেও কিছুটা বিলম্ব ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর পূর্বে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনেও প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বসিয়ে রেখে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি-সেক্রেটারি শোভন-রাব্বানীর দেরি করে আসেন।
দেরিতে শুরু হওয়া সেই সম্মেলনে প্রচন্ড গরমে অপেক্ষারত অবস্থায় ওয়াসী নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীর জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে সম্মেলন মাঠেই মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন।
এদিকে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিলম্বে অনুষ্ঠানে আসার বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ ও ক্ষোভ। সংশ্লিষ্টদের দাবি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পুরনো অভ্যাসের প্রতিফলন ঘটেছে আবারও।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগের আলোচনা সভা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
তবে বিপত্তি বাধে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পর উপস্থিতি ঘিরে।
জানা যায়, আলোচনা সভা ১০ টায় শুরু হলেও ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় সভাস্থলে উপস্থিত হন ১০টা ৫৭ মিনিটে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত হন ১১টা ৫ মিনিটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী বলেন, এতে করে বিলম্ব ঘটেছে মূল প্রোগ্রাম শুরু করতে। আর এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের পুরোনো অভ্যাসের প্রতিফলন ঘটেছে আবারও।
এ বিষয়ে কথা বলতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে
[sharethis-inline-buttons]