ঢাকার কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় মাথার খুলি হারানো ব্যাবসায়ী মোঃ সেলিম (৪০) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সেলিম দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার নতুন বাক্তারচর এলাকা র মৃত দীল মোহাম্মদের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রানা রায়হান নামে এক ব্যক্তির কাছে সেলিমের ভাই মোঃ শরীফ ও তার বোন জামাই নূর মোহাম্মদ ডিজেল বিক্রির ১১ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। সেই টাকা না দিয়ে রানা আরও তেল বাকিতে নিতে চাইলে দোকানে থাকা সেলিমের ছোট ভাই শরীফ ও বোনজামাই নূর মোহাম্মদ বাকিতে তেল বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৩ জুন দুপুরে রানা রায়হানের নেতৃত্বে আব্বাস আলী, হাতিম মিয়া, রবিউল্ল্যাহ, জাহের আলী, শাহীন, সজিব সহ ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে শরীফ ও নূর মোহাম্মদের উপর হামলা চালায়। এসময় বাড়িতে ছিলেন সেলিম।
খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা তার উপরও হামলা চালায় এলোপাতাড়ি মারপিটে তার মাথার খুলি ভেঙ্গে দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক দফা মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
সেলিমের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, মাথার অপারেশনের পর খুলির কিছু অংশ ডাক্তাররা তাদের দেন ফ্রিজে রাখার জন্য। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, অপারেশন সফল হলে ফ্রিজে রাখা খুলির অংশ মাথায় প্রতিস্থাপন করা হবে। কিন্তু সেটি আর হল না। শনিবার ভোরে তিনি মারা গেছেন। তিনি বলেন, বিনা অপরাধে ওরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তিন (দুই মেয়ে ও এক ছেলে) সন্তানকে নিয়ে এখন আমি কিভাবে চলবো।
জানা গেছে, ঘটনার পর আকলিমা স্বামীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। আকলিমার দায়ের করা মামলায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক নাজমুল আলম বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। কিন্তু যেহেতু আহত ব্যক্তি মারা গেছেন, তাই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। এখন হত্যা মামলা হিসেবেই এটি তদন্ত করা হবে।