নিখোঁজদের সন্ধানে বুড়িগঙ্গায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুুরি দল। ছবি: সংগৃহীত
নিখোঁজদের সন্ধানে বুড়িগঙ্গায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুুরি দল। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শাহিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কালীগঞ্জ আলম টাওয়ার এলাকার নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নৌকাডুবির ঘটনায় এ নিয়ে নিখোঁজ ছয়জনের সবার লাশই উদ্ধার করা হলো।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থেকে গার্মেন্টকর্মী শাহজালাল মিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় করে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন। তারা সাতজন ছিলেন নৌকাটিতে।
সদরঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে এমভি ‘সুরভী-৭’ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের পেছনে থাকা পাখার আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নৌপুলিশের একটি টহল দল শাহজালালকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়। সদরঘাট থেকে পরিবারটির লঞ্চে করে শরীয়তপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল।
পর দিন শুক্রবার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী জামসেদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও থানা পুলিশ।
আর শনিবার সাহিদা-শাহজালালের ছেলে মাহি (৬), মেয়ে মিম (৮) এবং জামশেদার স্বামী দেলোয়ার (২৮) ও তাদের ছয় মাসের ছেলে জুনায়েদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নৌবন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই নৌকার যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত লঞ্চের পেছন দিক দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লঞ্চ তখন পেছন দিকে যাওয়ায় প্রপেলারের ঢেউয়ের ধাক্কায় ছোট নৌকাটি ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সুত্রঃযুগান্তর