সম্প্রতি নিজের বড় ছেলে রণকে বিয়ে করিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। যখন রণ’র বয়স ২৬ বছর। তবে আসিফ চেয়েছিলেন ছেলেকে আরও আগেই বিয়ে করাতে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজের মতামত দেন তিনি।
‘ও প্রিয়া’ খ্যাত এই গায়ক বলেন, ‘আমি বিয়ে করেছি উনিশ বছর তিন মাস বয়সে। বলা যায় বেগমের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সেই প্রেশার কুকার গিলে ফেলা। জীবনের বাঁকে বাঁকে ঠোক্কর খেয়েও আমাদের সংসার টিকে আছে এবং কলেবর বাড়ছেই- আলহামদুলিল্লাহ। আমার দুই ছেলের বয়স বাইশ হওয়া মাত্রই তাদের পিছনে আঠার মতো লেগে আছি বিয়ে করানোর জন্য। তাই রণ’র সম্মতি পাওয়া মাত্রই আর কালক্ষেপণ করিনি। ছাব্বিশ বছরে আমাদের রণ এখন গর্বিত বিবাহিত পুরুষ।
আসিফের মতে, ‘জীবনকে খুব কাছে থেকে নিরীক্ষণ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। পড়াশোনা শেষ, তারপর চাকরি পেলে ছেলের বিয়ে দেয়া মার্কা ফর্মূলায় আমি নেই। গ্র্যাজুয়েশনের পরপরই বিয়ে দেয়াটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়। এর একটু আগেও হতে পারে, তবে কোনোভাবেই ছাব্বিশের পরে যাওয়া উচিত না। নতুন মুখ এলে এমনিতেই পরিবারে আনন্দ আসে, একঘেয়েমি কেটে যায়। ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলে নিজের জায়গায় চলে যাবে, তার আগেই জীবনের যতটুকু নির্যাস নেয়া যায়, সেটাই আনন্দ। দায়িত্বশীলতা আসে সন্তানের চিন্তাজগতে। পরিবার থেকে পাওয়া সহযোগিতাগুলো সে মনে রাখে, নিজের ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও পরিবারের সদস্যদের আগলে রাখার চেষ্টা করে।’
ছেলে ও ছেলে বউকে নিয়ে ভাই-বোনদের সঙ্গে আসিফ
সন্তানকে যথা সময়ে বিয়ে করানো অভিভাবকদের দায়িত্ব জানিয়ে আসিফ বলেন, ‘সন্তানকে পারফেক্ট সময়ে বিয়ে করানো অভিভাবকদের দায়িত্ব। অজুহাত বাদ দিয়ে সাহস করে এগিয়ে এলে উপায়ও বেরিয়ে আসবে। যে ঝুঁকি নেয় না তার সুখী হওয়ারও কোনো কারণ থাকা উচিত নয়। জীবনটা উপভোগের, ক্যালকুলেটর নয়। সংসারে বউ আসলে সময়গুলো রঙিন হয়, মানিয়ে নেয়ার জন্য সময় পাওয়া যায়। আমি বাল্যবিয়ে করলেও রণ’র বিয়ে পারফেক্ট সময়েই হয়েছে, আর দুটো বছর আগে হলে আরও ভালো হতো।’
এই সংগীতশিল্পীর ভাষায়, ‘সন্তানদের ঘরমুখী এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে তৈরি করতে সঠিক সময়ে বিয়ে করানো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের বিয়ে নিয়ে এখনো ইতস্ততবোধে আছেন যারা, তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। আমি একজন সফল সংসারী মানুষ, সেই এঙ্গেল থেকে ফ্রি টিপস দিলাম। স্মার্ট গার্ডিয়ান হউন, সঠিক কাজটি করুন।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট