আজিজ উল্লাহ, উপকূলীয় প্রতিনিধি:
উখিয়া জালিয়াপালং ইউপির ছেপটখালী এলাকায় বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে জনবসতিতে স্থাপিত লাইসেন্সবিহীন তিনটি অবৈধ করাতকলের যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। এসব করাতকল মালিকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার ( ১৬ মে ) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি শফিউলসহ উখিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনটি করাতকল জব্দ করা হয়েছে। এসময় সমিলের মালিকরা পালিয়ে যাওয়ার কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মনখালী বন বিটের বন কর্মকর্তা শিমুল কান্তি নাথ বলেন,” দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বনের পাশে অবৈধ করাতকল গুলো চলছিল। তাদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শ ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অবৈধ করাতকলের মালিকারা হচ্ছেন স্থানীয় ছেপটখালী এলাকার হেডম্যান কামরুজ্জামানের মালিকানাধীন দুটি করাতকল, সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মুসার শেয়ারের একটি ও ঢালারমুখের শাহাজানের মালিকানাধীন একটিসহ তিনটি করাতকল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এসব করাতকলের আরো আরো ১০/১৬ জন শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) সালেহ আহমেদ জানান, ” উপকূলের সমুদ্রের চর রক্ষায় রোপণকৃত ঝাউগাছসহ,পাহাড়ের সামাজিক বনায়নের বন উজাড় ও বনের গাছ রক্ষায় বন সংলগ্ন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন বন আইনে নিষিদ্ধ। এসসব করাতকলে দীর্ঘদিন ধরে চোরাই গাছপালা চিঁড়া হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ সীমানার মধ্যে লাইসেন্সবিহীন কল স্থাপনের কারণে তিনটি সমিলের সব মেশিনারি খুলে জব্দ করা হয়েছে। এসব করাতকল উখিয়া রেঞ্জ অফিস নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”