নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ না হলে শিক্ষা অঙ্গণে মানবসম্পদ তৈরি সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যহীন শিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও জাতীয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীগণের চাকুরি জাতীয়করণের লক্ষ্যে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে দেশ স্বাধীনের কিছু দিন পর প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেছিলেন, তেমনই দেশের মানবসম্পদ তৈরির কারীগর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ না করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। যাদের হাত ধরে আগামীর নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তারা যেন অবহেলার স্বীকার না হন। প্রতিবছর পরীক্ষায় বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য থাকে সবার উপরে
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী যেমন ডাক্তারি পেশায় একজন অসুস্থকে চিকিৎসা দেন, শিক্ষকদেরও চিকিংসা এখন জাতীয়করণ।
এসময় চাকরি জাতীয়করণসহ পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণের ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, স্বেচ্ছা বদলির ব্যবস্থাকরণ, প্রধান শিক্ষকগণের বেতন ভাতা ৬ গ্রেডে প্রদান, অবসর গ্রহনের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যান ট্রাস্টের টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘভাতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়া আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপরোক্ত দাবীসমূহ পূরণের লক্ষ্যে অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান তারা।
সভায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: ফরিদুল ইসলামসহ সারাদেশ ও মহাগরের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে
[sharethis-inline-buttons]