করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে নাটোরের গোপালপুর পৌরসভায় শুরু হয়েছে সরকারঘোষিত লকডাউন। তবে চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল থেকেই শহরের সড়কগুলোতে সিএনজি, ইজিবাইক, ভ্যান, ভুটভুটি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্রাক, চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বন্ধ বয়েছে দূরপাল্লার বাস।
শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা রয়েছে মিষ্টি ও খাবার হোটেল, চা ও মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। লালপুরে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকলেও সাধারণ জনগণ ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বাভাবিকভাবেই। চলছে চা দোকানে আড্ডাও। অনেক বের হয়েছেন দৈনন্দি কাজে। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক।
এদিকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত লকডাউন বাস্তবায়নে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দেখা যায়নি প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা।
হাফিজ নামে এক সিএনজি চালক বলেন, ‘পেটের দায়ে সংসার চালাতে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। চলাচলে এখন পর্যন্ত কেউ বাঁধা দেয়নি। এছাড়া কিস্তি, সংসারের খরচ যোগাড় করতে হবে। একদিন গাড়ি না চালালে সংসার চলবে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজে বের হয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, আজকে লকডাউন আমি জানি না, আর সবই তো ঠিক মত চলছে। আমি বাইরে বের হলে দোষের কি?
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার বলেন,
আমি শুনেছি চা দোকানে আড্ডা চলছে, আমি ব্যস্ত ছিলাম, লকডাউন কার্যকরে এখনি মোবাইল কোটে বের হবো। এছাড়া লকডাউনে পুলিশ ঢহলে আছে, আমি বণিক সভাপতির সাথে কথা বলেছি, তারা বাজারের দোকান বন্ধ নিশ্চিত করছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ২২ জুন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত নাটোর সদর, গোপালপুর, গুরুদাসপুর, বড়াই গ্রাম, বনপাড়া, বাগাতিপাড়া, নলডাঙ্গা, সিংড়া পৌরসভা লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।