আজিজ উল্লাহ, আরাফাত সানি:
টেকনাফে মিয়ানমারে মানব পাচারের সহযোগী হিসেবে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মো. করিম কিন্তু পাচারের পর চুক্তিবদ্ধ টাকা চাওয়ায় তা না পেয়ে পরবর্তীতে পাচারের তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তথ্য দিবে বলেই তার পাওনা ২হাজার টাকা খোঁজলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক।এরই মধ্যেই কথা-কাটাকাটির জেরে মদ্যপন অবস্থায় ছুরিকাঘাতে করে।এতে ছুরিকাঘাতে পেটের গভীরে আটকে প্রচুর রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নেওয়ায় পথে নিহত মানবপাচারের সহযোগী তার বন্ধু । নিহত মো. করিম (২০) টেকনাফ সদরের ইউনিয়নের বড়ই তলী এলাকায় মোহাম্মদ সাবেরের পুত্র।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদরের বড়ইতলী এলাকায় আনোয়ারের বাড়ির উত্তর পাশে পাড়াহের নিকটে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় আদম পাচারের পাওনা টাকা নিয়ে নিহত যুবক করিম ও ঘাতক বন্ধু নুর মোহাম্মদ উরফে সুরিয়া সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঘাতক সন্ত্রাসী বন্ধু নূর মোহাম্মদ তার পাওনা টাকা না দিয়ে নৌকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে আদম আনতে যায়। ঐ খবর করিম জেনে যাওয়ার পর আদম পাচারের কাছে বাঁধা দেয়। এতে পুনরায় ঐ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। ঘাতক নুর মোহাম্মদ উরফে সুরিয়া একই এলাকায় মোহাম্মদ ছালামের পুত্র।
সুরিয়া তার শরীলের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পাহাড় দিকে পালিয়ে। এতে গুরুতর আহত করিমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।