আজিজ উল্লাহ,বিশেষ প্রতিনিধি:
টেকনাফের বাহারছড়া “মানবিক চোখে মানবতা” নামক তরুণদের একটি টিমের সহায়তায় মানসিক ভারসাম্যহীন পথচারী কিশোরগঞ্জের লিল মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দীর্ঘ ২০ বছর পর প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে সুস্থ করে তুলে পরিবারের কাছে স্থানান্তর করা করেছেন। দীর্ঘ ২০ বছর আগে ঘর ছাড়ার পর তাকে পরিবার আর খোঁজে পায়নি। পরিবার মনে করত সেই মারা গেছে। অবশেষে এই টীমের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সহায়তায় তার সন্ধান পেয়েছে।
জানা যায়, বুধবার ( ১৬ নভেম্বর) দুপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন লিল মিয়াকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া দেয়া হয়। কিশোরগঞ্জ থেকে তার সহোদর মাইমুমিয়া ও ভাগিনাসহ তিনজন কক্সবাজারে এসে তাকে গ্রহণ করেন। এসময় দীর্ঘ ২০ বছর পর তাদের আকস্মিক দেখা পেয়ে সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে বুকে আলিঙ্গন করেন। এদিকে রাত ৮.০০ টার সময় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছেড়েন তারা।
টিমের সদস্যরা বাহারছড়ার সমাজসেবক এনজিও কর্মকর্তা মো. শহিদ উল্লাহ শহিদকে শুরু থেকে শেষ অবধি পাশে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহায়তায় বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং কৃতজ্ঞতা শিক্ষানুরাগী শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.এ মনজুর আলমের প্রতিও।
মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবঘুরে লিল মিয়া দীর্ঘদিন পথেঘাথে ডাস্টবিনের পঁচা খবর, যেখানে সেখানে শুয়ে খেয়ে না খেয়ে অনিশ্চিত জীবন অতিবাহিত করছে আসছিল। পায়ে কিসের আঘাতে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয়েছে। শামলাপুরে বাজারে মানবিক চোখে মানবতার টিমের সদস্যদের চোখে পড়লে তাকে উদ্ধারে ডাক্তার আব্দুল কাদের বিনামূল্যে পচনধরা পায়ে চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তুলেন।