আজিজ উল্লাহ,উপকূলীয় প্রতিনিধি:
টেকনাফের হ্নীলা দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসায় ভাইস সুপারের কক্ষে শিশু ফারিয়াকে নাস্তার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার জড়িত মো. ইরফান নামের এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে ভিকটম শিশুর মরদেহ মাদ্রাসার বার্থরুমের পিছন থেকে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিম শিশু দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অপহৃত ফারিহা(৮) হ্নীলা ১নং ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার এলাকার ছানা উল্লাহ’র মেয়ে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে হ্নীলা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার অভ্যন্তরে টয়লেটের ড্রেইন থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় হ্নীলা দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার ভাইস সুপার মুফতি আলী আহমেদের পুত্র মো. ইরফন(২২)।গতকাল সন্ধ্যায় ফারিহাকে অপহরণ করে দীর্ঘ ২২ ঘন্টা নিখোঁজের পর মরদেহ উদ্ধার করেন র্যাব ও পুলিশ।
মা জেসমিন আক্তার জানান, গতকাল বিকাল থেকে ফারিহা নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে পাওয়া যায়নি, পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় দীর্ঘ ২২ঘন্টা পর আজ মাদ্রাসার ভবনের পাশে পানি চলাচলের ড্রেন থেকে মৃত্যু অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, তাঁর দেওয়া তথ্যমতে মরদেহ ও ফারিহার ২ টুকরো কাপড় উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ফারিহা খানমকে হ্নীলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার ভাইস সুপার এরফানের বাবা মুফতি আলী আহমদের কক্ষে ধর্ষণের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এতে ভয়ে রশ্মি দিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর রাত ৩টায় মাদ্রাসার টয়লেটের ড্রেনে ফেলে রাখেন। এই ঘটনায় মুলহুতা ধর্ষক এরফানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।