মাদারীপুরে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের তাদের প্রত্যেকতে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর শিরখাড়া গ্রামের নুরুদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে মাজহারুল ইসলাম মজনু, একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠ গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মাছিম শেখ ও জসিম শেখ।
অপরদিকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চর ধুরাইলের কুটি হাওলাদের ছেলে হোসেন হাওলাদার, একই গ্রামের আনাই ব্যাপারীর ছেলে মনজুর আলী, ঘুনসি গ্রামের আবু হাওলাদের ছেলে সাইদুর হাওলাদার, একই গ্রামের এরফান মাতুব্বরের ছেলে সূর্য মাতুব্বর, পশ্চিম মাঠ গ্রামের রফিজ উদ্দিন শেখের ছেলে ফয়েজ শেখ ও শিরখাড়া গ্রামের ছত্তার মাতুব্বরের ছেলে সুজাল মাতুব্বর।
এদের মধ্যে মাজহারুল ইসলাম মজনু, মাছিম শেখ, মনজুর আলী, সাইদুর, সূর্য মাতুব্বর ও সুজাল মাতুব্বর পলাতক।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লুৎফর খালাসী, তার দুই ভাই ওবায়দুর খালাসী ও খায়রুল খালাসীসহ ৫ জন আইশৃঙ্খলাবাহীর হাতে বন্দুকযুদ্ধে বিভিন্ন সময় নিহত হন। এছাড়া জাকারিয়া অপু, শামীম হোসেন, নুরুদ্দিন মাতুব্বরসহ চারজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততা থাকলেও আদালত তাদের অব্যাহতি দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিংহ জানান, ২০০৩ সালের ১৯ অক্টোবর নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর হাওলাদারের ভাই আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দিন নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম মামলা করেন।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, আসামিরা বিভিন্ন সময় সাক্ষীদের হুমকি দিয়েছেন। তাই আদালতে সাক্ষীদের দেরিতে আনতে পারায় রায়ে বিলম্ব হয়েছে। তবে আজ এ রায়ে আমরা খুশি। এখন দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাই।
সূত্র জাগো নিউজ।