ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় জবিস্থ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ

নিউজ ডেস্ক: দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে৷ গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) অন্যান্য কেন্দ্রের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘জবিস্থ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ’।

ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয় হেল্প ডেস্ক। যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি তাদের সাথে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখেন সংশ্লিষ্টরা।

যেগুলো পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্টদের নিকট পুনরায় বুঝিয়ে দেন তারা৷ একই সাথে কয়েকজন অভিভাবকের ব্যাগও তত্ত্বাবধানে রাখেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়। কুষ্টিয়া জেলার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় সকাল ১০টায় ভিক্টোরিয়া পার্কের মেইন গেইটের পাশে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের বুথ বসানো হয়।

আর এক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কুষ্টিয়া জেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায়৷ ব্যাগ ও জিনিসপত্র নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে পানিও সরবরাহ করে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা।

এসব স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে জবিস্থ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শৈশব মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ডালিম এবং কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল৷ যাতে করে উপস্থিত সবাই উৎসাহ পায়। ভর্তি পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের গচ্ছিত জিনিসপত্র বুঝিয়ে দিয়ে প্রথম দিনের হেল্প ডেস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়।

এদিকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এই উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ভর্তিচ্ছু। তারা বলেন, নিজ জেলার হেল্প ডেস্ক থাকায় আমাদের অতিরিক্ত জিনিসপত্র এখানে রাখতে পেরেছি৷ পাশাপাশি পরীক্ষা সম্পর্কিত কিছু দিক নির্দেশনাও পেয়েছি৷ আসলে এতে করে এখানেও এলাকার ভ্রাতৃত্ব তৈরী হয়েছে৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।

জবিস্থ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শৈশব মাহমুদ বলেন, আমরা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি। তাদের সঠিক নির্দেশনা , পানি সরবরাহ , মোবাইল,ব্যাগ ও বই জমা রাখাসহ নানামুখী ভূমিকা রেখেছি। আগামী পরীক্ষায়ও আমরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।

সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ ডালিম বলেন, আমরা জানি যারা পরীক্ষা দিতে আসে তারা নানান সমস্যায় যেমন পড়ে তেমনি মানসিক চাপেও ভোগে। এই সমস্যায় যাতে কোন কুষ্টিয়ান ভাই-বোনদের না পড়তে হয় সেজন্যই আমরা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ ২টি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রথমদিকে পরিষদের সদস্যদের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে অনলাইন প্রচারণা করেছি। যাতে আমরা দেখতে পেয়েছি অনেক ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবক আমাদের সাথে যোগাযোগ করে।দ্বিতীয়ত পরীক্ষার দিন ‘হেল্প ডেস্ক’ বসিয়েছি। সেখানেও আমরা ভর্তিচ্ছুদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সহ তাদের প্রয়োজনীয় ব্যাগ-পত্র ও মোবাইল সযত্নে রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। সব শেষে বলতে চাই আমরা কুষ্টিয়ানরা কুষ্টিয়ানদের সেবায় বলীয়ান।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

চূড়ান্ত ফলাফলেও ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ শাহীন মোস্তফা সিফাতের

আজিজ উল্লাহ: টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. আলমের পুত্র প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি পরিক্ষায় ট্যালেন্টপুল …

error: Content is protected !!