নিউজ ডেস্ক: দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে৷ গত শনিবার (৩ জুন) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শেষ হয়। অন্যান্য কেন্দ্রের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ’। গত ২০ মে, ২৭ মে ও ৩ জুনের পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহায়তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে সংগঠনটি।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয় হেল্প ডেস্ক। যেখান থেকে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি তাদের সাথে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখেন সংশ্লিষ্টরা।
যেগুলো পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্টদের নিকট পুনরায় বুঝিয়ে দেন তারা৷ একই সাথে কয়েকজন অভিভাবকের ব্যাগও তত্ত্বাবধানে রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা।
তিনদিনের ভর্তি পরীক্ষায় সরেজমিনে দেখা যায়, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের বুথ বসানো হয়।
আর এক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায়৷ ব্যাগ ও জিনিসপত্র নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে পানিও সরবরাহ করে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যরা।
এসব স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক মাহিমুর রহমান বিজয় এবং কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল৷ যাতে করে উপস্থিত সবাই উৎসাহ পায়। ভর্তি পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের গচ্ছিত জিনিসপত্র বুঝিয়ে দিয়েই হেল্প ডেস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এই বিশেষ উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ভর্তিচ্ছু। তারা বলেন, নিজ জেলার হেল্প ডেস্ক থাকায় আমাদের অতিরিক্ত জিনিসপত্র এখানে রাখতে পেরেছি৷ পাশাপাশি পরীক্ষা সম্পর্কিত কিছু দিক নির্দেশনাও পেয়েছি৷ আসলে এতে করে এখানেও এলাকার ভ্রাতৃত্ব তৈরী হয়েছে৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।
জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এই সহযোগিতার একটিই লক্ষ্য ছিল। তা হলো যেকোনো উপায়ে তাদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ভাবে তাদের জিনিসপত্র বা কোনো তথ্য বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় না পড়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা আমাদের কাজ সুন্দর ভাবে শেষ করতে পেরেছি। সামনেও এ ধরনের কাজ অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক মাহিমুর রহমান বিজয় বলেন, নিজ জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক, কলম পানিসহ অন্যান্য সহায়ক দ্রব্যাদি বিতরণের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার চেষ্টায় ছিলাম আমরা। আমাদের এ আয়োজনে যারা পাশে ছিল তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভবিষ্যতেও আমরা এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।