বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাড় দখলমুক্ত করতে তৃতীয় দিনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ। সকাল সাড়ে দশটায় কামরাঙ্গীচরের খোলামোড়া নবাব চর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড বিটিসিএল কামরাঙ্গচর এক্সচেঞ্জের দ্বিতল ভবন ও বেশ কয়েকটি সমিল মিল-কারখানাসহ প্রায় ১৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত নদীর দুই তীরে ৬০৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে । পর্যায়ক্রমে সবই ভাঙা হবে। এসব স্থাপনার মধ্যে ৫৬টি বহুতল ভবন রয়েছ। এর মধ্যে প্রথম দুইদিনে ৭ তলা ভবনসহ অর্ধাশত স্থাপনা অপসারণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর ভ্রাম্মমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মান করায় সমিল মালিক মোঃ রুস্তম ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদন্ড এবং নুরুল ইসলাম নামে আরো একজন কারখানা মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক জানান, উচ্ছেদকৃত জায়গায় ওয়াক ওয়ে নির্মানসহ পার্ক নির্মান করা হবে। রাজনৈতিক বা সরকারি এটি বিবেচ্য বিষয় নয়। নদী বাচাঁতে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি। আমাদের প্রথম ধাপের কাজ আজকেরমত এখানেই সমাপ্ত। দ্বিতীয় ধাপ আগামী মঙ্গলবার থেকে আবারও তিন দিন টানা অভিযান চালাবে। এর আগে বিআইডব্লিউটিএ গত দুই দিনে কেরানীগঞ্জ ও কামরাঙ্গিরচর এলাকায় প্রায় ৩২০ অবৈধ্য স্থাপনা ভেঙ্গে গুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এর তৃতীয় দিন
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে
[sharethis-inline-buttons]