বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলে নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার স্থানীয় বাসিন্দারা কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ তৈলঘাট এলাকায় মানবন্ধন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ মানবন্ধন থেকে সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লিজেন্ড গ্রুপের আয়োজনে মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স¤ম্প্রতি বুড়িগঙ্গা নদীতে দুর্ঘটনায় স্বজনরা হারানো পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন জানান, দিনের বেলা বুড়িগঙ্গায় বলগেট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে এসব নৌযান চলছে। সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রী নামানোর পর লঞ্চগুলো বুড়িগঙ্গা নদীতে এলোমেলো করে পার্কিং করে রাখে। এতে নৌযান চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। লঞ্চের পার্কিংয়ের জন্য সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। সেখানে পার্কিং করলে দিনে লঞ্চগুলোকে মাত্র ২০০ টাকা দিতে হয়।
এই টাকা বাঁচানোর জন্য লঞ্চের লোকজন সদরঘাটের দুই পাশে ভিড়িয়ে রেখে দুর্ঘটনার ঝুকি বাড়িয়ে তোলেন। এছাড়াও খেয়া নৌকার যাত্রীরা প্রায়ই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় এসে যাত্রীদের ছো মেরে নিয়ে চলে যান। পরে সর্বস্ব ছিনিয়ে নদীতে ফেলে দেন। এসব কারনে বুড়িগঙ্গায় চলাচলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন যাত্রীরা। সরকারের উচিত দ্রুত এসব বিষয়ে নজর দেয়া এবং নিরাপদ নৌ-চলাচল নিশ্চিত করা।
নৌ দুর্ঘটনারোধে মানববন্ধন থেকে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নদীর যত্রতত্র নৌযানের পার্কিং বন্ধ, যাত্রীবাহি লঞ্চগুলোর পেছনে গাড়ীর মতো ক্যামেরা লাগানো, নৌযানগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নৌযানে দক্ষ জনবল নিয়োগ, নদীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রমের ব্যবস্থা নেয়া।
এ.এইচ.এম. সাগর।
নিউজ ঢাকা ২৪।