টানা ৩২ দিন কারা ভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র দুই নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস। সোমবার ৯ জানুয়ারী বিকেল ৫.৫৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে বিএনপির সিনিয়র দুই নেতার জামিন নামার কাগজ সোমবার বিকাল ৪.১৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পেৌছায়।
বিএনপির সিনিয়র দুই নেতার আজ জামিন হবে এমন খবর পেয়ে দুপুর থেকেই কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে জড়ো হতে থাকে কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার আশেপাশের বিএনপি নেতা কর্মীরা। সন্ধ্যায় যখন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারগার থেকে বের হচ্ছিল তখন কারাগারের মূল ফটকের সামনে শত শত নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিএনপির এই দুই নেতা দুটি ছাদ খোলা প্রাইফেট কারে দাড়িয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।
সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, জালিম সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের পরেও গনতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে র্না। জনগনের আত্বধানের মধ্য দিয়ে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধান করা হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, জেলে গিয়ে দেখেছি আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কিভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এদের দু:খ দুর্দশা আপনাদের আমি বর্ননা করতে পারবো না। সরকারের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের কারাবন্দী এই ছেলেদের প্রতি দয়াকরে একটু মানবিক হন বিবেকবান হন। এরা চোর না ডাকাত না, এরা সবাই রাজনৈতিন কর্মী। এরা দেশের মানুষের কথা বলে।
এদিকে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনকে কেন্দ্র করে গতকাল কারা কতৃপক্ষ কারাগার এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলো । কারাগারে আসা বন্দীদের আত্মীয় স্বজন ও দর্শনার্থীদের কারাগার এলাকায় প্রবেশে তল্লাশীর করা হয়েছে।#
রাজু আহমেদ
০১৮৭৭৩৮৭৭৩৮
০৯-০১-২০২৩