আজিজ উল্লাহ,টেকনাফ:
টেকনাফের বাহারছড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটারের রাস্তা ইটের কংক্রিট ঢালাইয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় কংক্রিট বালি হয়ে উড়ে যাচ্ছে, শীতকালীন উত্তরের বায়ুতে পুরো এলাকা জুড়ে রাস্তার ইটের কংক্রিটের লাল বালি এবং ধুলোই দুষিত রাস্তার আশপাশের প্রায় এলাকা। এতে করে মানুষের চলাচল ও যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে এই রাস্তা হয়ে শামলাপুর বাজারে যাতায়াতসহ রাস্তার আশপাশে বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন দোকান পাট ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে।এই সকল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ ও পরিবহণের জন্য প্রতিনিয়ত যানবাহন গুলোকে এই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। ধুলাবালির কারণে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়াতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ব্যস্ততম রাস্তা মধ্যে অন্যতম হলো বাহারছড়ার ৮০ হাজার মানুষের চলাচলের এই এলজিইডি সড়ক। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ তাদের নানা প্রয়োজনে উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন কাজে শামলাপুর বাজার, ভুমি অফিস, স্কুল- মাদ্রাসা ও কোমলমতি শিশুরা রাস্তা সংলগ্ন নুরানী মাদ্রাসায় যাতায়াত করে থাকে। এতে করে তাদের পোশাক ইটের রঙে পুরা লাল বালিতে বিবর্ণ হয়ে দুষিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীরা জীবন জীবিকার তাগিদে কর্মজীবী মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাকরির প্রয়োজনে এ এলাকায় অবস্থান করে। এ রাস্তাটি এলজিইডি বিভাগ থেকে পাকা করণের জন্য গত বছর ইটের ঢালাই শুরু করলেও নামমাত্র ইটের কংক্রিটের কাজ শেষ করে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর পিচঢালায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন জায়গায় ছোট্ট ছোট্ট কংক্রিটের ছড়াছড়িসহ বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। ধুলাবালির কারণে নাগ, চোখ ও দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বলতে গেলে রাস্তাটি এখন প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকার সচেতন মহল বলেন,” রাস্তার ধুলোবালিতে চলাচলের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে ইজিবাইক চললেও লাল বালি উড়ছে। এতে করে রাস্তার আশেপাশে দোকান পাটে এমন কি সংলগ্ন বাড়িঘর, গাছপালা ঘষে পড়া ইটের কংক্রিটের লাল বালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। তাই যথাসম্ভব রাস্তার পিচঢালায়ের কাজ শুরু করে পরিবেশ দূষণ থেকে এলাকাকে রক্ষা করা দরকার। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেন তাড়াতাড়ি যেন কাজ শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দীন লাভলুর সঙ্গে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,” কার্পেটিং মিশনসহ রাস্তার পিচঢালায়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে কাজ শুরু করতে একটু দেরি হয়েছে৷ তবু শীগ্রই কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।”