ডেস্ক:
প্রিয় টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নবাসী আসসালামু আলাইকুম। মহান আল্লাহর রহমতে আশা করি আপনারা ভাল আছেন। প্রিয় বাহারছড়া ইউনিয়নবাসী ইতি মধ্যে হয়ত আপনারা জেনেছেন যে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। সেখানে সম্মানিত ইউপি সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে চরম লজ্জাহীন ভাবে মিথ্যাচার করেছে। পরে এক সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিকদের সামনে আমাকে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ বলে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করেছে, তারা এত যে বেপরোয়া যে আমার বৃদ্ধ বাবাকে নিয়েও তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে।
সম্মানিত ৫ নং বাহারছড়া ইউনিয়নবাসী আমি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচন করার সময় আপনাদের কথা দিয়ে ছিলাম যে আমি নির্বাচিত হলে চেয়ারম্যান হিসেবে নয় আপনাদের একজন গোলাম হিসেবে আপনাদের সেবা করে যাব। আপনাদের অসীম ভালবাসা ও আল্লাহর রহমতে আমি নির্বাচিত হয়। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যখন ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করতে যাই তখন পরিষদে খুবই বাজে অবস্থা। সেবা প্রার্থীরা বসার জন্য একটি চেয়ার পর্যন্ত নেই, সাথে ইউপি সদস্যরা বসার জন্য একটি নিদিষ্ট স্থান ছিলনা। আর পরিষদের বিভিন্ন কক্ষে নোংরা পরিবেশ বিদ্যমান ছিল। প্রথমে আমি একটি অগোচালো পরিষদকে পরিষ্কার পরিচন্ন করে ঢেলে সাজায়। সেবা প্রার্থীরা বসার জন্য বিশেষ করে প্রতিবদ্ধী, নারী, ও বৃদ্ধ লোকেরা বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করি। ইউপি সদস্যদের জন্য নিদিষ্ট বসার স্থানের ব্যবস্থা করি। সব সময় চেষ্টা করেছি পরিষদের সেবা প্রার্থীদের মডেল সেবা দেওয়ার জন্য যা এখনো বিদ্যমান।
প্রিয় বাহারছড়াবাসী অনাস্থা প্রস্তাবে সম্মানিত ইউপি সদস্যরা আরো অভিযোগ করেছে যে আমি নাকি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প একছত্র নিয়ন্ত্রণ করে টাকা আত্নসাৎ করেছি। যা একটি চরম লজ্জাহীন মিথ্যা কথা বলে আমি মনে করি। আমি দায়িত্ব নিয়ে চ্যালেন্স করে বলতে পারি যে আমি পরিষদের একটি টাকাও কখনো নিজের জন্য আত্নাসাৎ করেনি। সব সময় বাহারছড়াবাসীর কল্যাণে ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করেছি। আমি নিজেও কখনো একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করেনি। সব প্রকল্প স্বস্ব ওয়ার্ডে কাজ করার জন্য ইউপি সদস্যদের ভাগ করে দিয়েছি। যা দায়িত্বরত সকল দপ্তর তদন্ত করলে বের হয় আসবে। সেখানে আরো হাস্যকর অভিযোগ করা হয়েছে যে আমি নাকি জন্মসনদ ও ভিজিডি চাউলের কার্ড থেকে টাকা নিয়েছি। প্রিয় বাহারছড়াবাসী এই বিচার আপনাদের দিলাম। সরকারি বিভিন্ন দায়িত্বরত এজেন্সির কাছে আবেদন আপনারা বাহারছড়ায় প্রত্যেক জায়গায় তদন্ত করে দেখতে পারেন। আমি এই ভিজিডি কার্ড ও জন্ম সনদ করার সময় কারো কাছ থেকে যদি একটি টাকা নিয়ে থাকি এবং তা যদি কেউ প্রমান করতে পারে আমি সেচ্ছায় চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নিব।
প্রিয় বাহারছড়াবাসী আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে আমি যখন নির্বাচন করছিলাম তখন আপনাদের কথা দিয়ে ছিলাম আমি নির্বাচিত হলে বাহারছড়ায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুগযুগ ধরে মিমাংসা না হওয়া শতশত বিচার আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সহযোগিতায় ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে মিমাংসা করেছি। এতে বাহারছড়ার শতশত মানুষ উপকৃত হয়েছে।
প্রিয় বাহারছড়াবাসী কয়েকজন ইউপি সদস্য আরো অভিযোগ করেছেন যে আমি নাকি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করি। সত্যি বলতে পরিষদের ইউপি সদস্যরা আমার থেকে বিভিন্ন বয়সে বড়। আমি তাদের আমার তরফ চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সম্মানটুকু দেওয়ার জন্য। তারা আরো অভিযোগ করেছে যে আমি নাকি ফোনে তাদের সাথে কথা বলিনা। আসলে তথ্য প্রযুক্তির যুগে এই রকম মিথ্যা বলার সুযোগ নেই। আমি তাদের সাথে কথা বলি নাকি বলিনা তা সবার ফোন নাম্বার ও আমার ফোন নাম্বারের কল রেকর্ড বের করলে বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে।
প্রিয় বাহারছড়াবাসী আপনাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্টা করতে গিয়ে আজ আমি যড়যন্ত্রের স্বীকার। কিছু ইউপি সদস্য আমাকে ভিজিডি চাউলের কার্ডের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়েছিল। আমি নিজের দিকে না চেয়ে আপনাদের ন্যায্য অধিকার বিনামূল্যে হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছি। আশা করি আপনার এই ভিজিডি চাউলের কার্ড বিনামূল্যে পেয়েছেন। আমি পুরো ইউনিয়ন জুড়ে বেশ কয়েকবার মাইকিং করেছি ভিজিডি কার্ডের বিনিময়ে কারো সাথে লেনদেন না করার জন্য। আমার বিশ্বাস আপনারা সম্পুর্ণ বিনা মূল্যে এই কার্ড পেয়েছেন। ইউপি সদস্যরা আরো অভিযোগ করেছে যে আমি নাকি পরিষদে সমন্বয় মিটিং করিনা। আমি কি সমন্বয় মিটিং করি নাকি না করি তা পরিষদের লেজুলেসং খাতা চেক করলে বিস্তারিত তথ্য বের হয়ে আসবে। সমন্বয় মিটিং নিয়েও তারা চরম মিথ্যাচার করেছে। সব কিছু মিলে প্রিয় বাহারছড়াবাসী আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অপবাদের বিচার আপনাদের দিলাম। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও এজেন্সির কাছে আমার আবেদন যে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার। ইনশাআল্লাহ নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হবে। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার বিরুদ্ধে সমালোচনা থাকতে পারে তাই বলে এই রকম চরম লজ্জাহীন মিথ্যারচার কখনো মেনে নেয়া যায়না।
পরিশেষে বলতে চাই যে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্রতম কর্মী হিসেবে বাহারছড়ার জনগণের সেবা করে যাব এবং ন্যায় সংঘত অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করব। ইনশাআল্লাহ প্রিয় বাহারছড়াবাসী আপনারা পাশে থাকলে কেউ যড়যন্ত্র করে সফল হবেনা।
আমজাদ হোসেন খোকন
ইউপি চেয়ারম্যান
৫নং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ
টেকনাফ, কক্সবাজার।
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখা।