আজিজ উল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি:
টেকনাফের বাহারছড়া হলবলিয়া এলাকায় বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ডাকাত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। ডাকাত থেকে ক্রয়ের মোবাইল উদ্ধারের সুত্র ধরে মূলত তাদের আটক করা হয়।
সুত্রে জানা যায়, গত কাল শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১.৩০ টায় বাহারছড়া- হোয়াইক্যং ঢালারমুখ হতে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ ঘটিকার সময় বাহারছড়া ইউপির হলবনিয়া এলজিইডিস্থ রাস্তার পশ্চিম পাশে জনৈক গিয়াস উদ্দিনের বিবাহ শেষে নববধূকে তাহার বাড়ীতে আনিলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মুখে মাস্ক লাগিয়ে বন্দুকহাতে বিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করে উপস্থিত লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চড়থাপ্পর মেরে নববধূ হালিমাতুস সাদিয়ার ডান কানে থাকা ৪ (চার) আনা ওজনের স্বর্ণের দুল, ১ভরি ওজনের গলার স্বর্ণের নেকলেস, গলায় থাকা সিটি গোল্ড এর একটি চেইন এবং দুইটি মোবাইল সেট জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, মো.মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার), এর নির্দেশক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল, রাসেল, পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং এলআইসি শাখার প্রযুক্তিগত সহযোগিতায়, অফিসার ইনচার্জ, টেকনাফ মডেল থানা মো. আব্দুল হালিমের সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক মো. মছিউর রহমানের নেতৃত্বে এসআই রোকনুজ্জামান ও এসআই মো. হেলাল এবং সংগীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত হ্নীলা উলুচামরী এলাকায় স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের পুত্র মো রাসেল(৩২) গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে গ্রেফতারপূর্বক তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনায় লুন্ঠিত মোবাইল ফোন vivo v2le খারংখালী পূর্ব মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের পুত্র মো. ইউনুছ (১৯) এর হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আবদুল হালিম জানান,” গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছে।”
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মো. রাসেল(৩২) এর বিরুদ্ধে দুইটি খুনের মামলা, গ্রেফতারকৃত ডাকাত রাসেল উলুচামরী কোনার পাড়া মোহাম্মদ নুর হত্যা মামলার ২নং এজহারনামীয় আসামিও।এছাড়া একটি অস্ত্র আইনে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে এবং ৩টি গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলতবী রহিয়াছে।