ডেস্ক রিপোর্ট:
কক্সবাজারের টেকনাফে বাহারছড়া ইউপির বাইন্না পাড়া এলাকায় বিরোধীয় জমির মালিক পক্ষ ও ৩জন মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে এক বৃদ্ধ লোক আহত হয়। অপরপক্ষেন স্থানীয়দের ধাওয়ায় ঐ অপরিচিত লোকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের চামড়ায় থেঁতলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনার যাচাই-বাছাই কালে তারা উখিয়া উপজেলার সংবাদ কর্মী বলে জানা গেছে। এদিকে জমির মালিকদের অভিযোগ অবৈধ ঘর দখলে নিতে আয়ুইব আলী গং দের নির্দেশে উখিয়া থেকে আসা গনমাধ্যম কর্মী মুসলিম উদ্দিন, মিসবাহ উদ্দিন ও আশিকুর রহমানকে ভাড়া করে আনা হয়েছে বলে দাবি করেন শফিউজ আজম গ্যাং। এঘটনায় সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিনসহ দুই সংবাদ কর্মী আহত হয়,একই ঘটনায় অপরপক্ষে স্থানীয় শফিউল আজম নামে আরেকজন বৃদ্ধও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বাহারছড়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড বাইন্না পাড়া নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে যে জমি নিয়ে ঘটনা হয়েছে। সেই জমির সমস্যা নিষ্পত্তি নিয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রর পুলিশ পরিদর্শক মছিউর রহমান বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন,স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী, ব্যবসায়ী মো. নায়েম উদ্দিন (বাবু), বাহারছড়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হক মেম্বারের পুত্র মো. রাসেল উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের ওয়ারিশ ও মান্যগণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শালিস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ ফোন আসে পুলিশের কাছে, যে জায়গা নিষ্পত্তি হতে চলেছে, সেই জমিতে সাংবাদিকদের ধাওয়া করছে, বিষয়টি জানার সাথে সাথে এএসআই মো. সোহেলকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ পাঠানো হলে ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হুমায়ুন কাদের বলেন, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ২টি মোটরসাইকেল যোগে ৩জন অপরিচিত লোক এসে হঠাৎ মৃত হাসান আলী মেম্বারের ছেলে শফিউল আজম (৬২) এর বসত বাড়ির বিরোধীয় তালাবদ্ধ ঘরের দরজায় দাঁড়ালে, কিছু বুঝে উঠার আগেই শফিউল আজমের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়,পরে নিজের আত্মরক্ষায় হাতে দা নিয়ে তাঁদের ভয়ভীতি দেখার চেষ্টা করলে, তারা পালানোর চেষ্টাকালে, তাড়াহুড়োতে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিন নামে একজন গনমাধ্যম কর্মী আহত হয়।
ঐসময় ধাওয়া করলে তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন পড়ে যায়, পরে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সহযোগিতা চাইলে, কেন্দ্রের ইনচার্জ মছিউর রহমানের নেতৃত্বে এএসআই সোহেলসঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করে হাতে তুলে দেন।
তবে এই ঘটনার বিবরণ ভিন্ন বলে ঘটনাস্থলে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মী মিজবাহ আজাদ বলেন, আমাদের অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যায় তথ্য সংগ্রহ করতে, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক এসে আমাদের দা নিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে, একপর্যায়ে বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে হাতাহাতি হলে, আমাদের ৩টি মোবাইল ফোন ও একটি ক্যামেরা ও ২ টি মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়।
এই বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মছিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঐ জায়গা নিয়ে অনেকদিন ধরে ঝামেলা চলছিল, এই নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে সমাধানও হয়েছে, এই বিষয়ে সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিন, মিজবাহ আজাদ ও আশিকুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে তাদের চিন্তে না পেরে প্রতিপক্ষ সন্দেহ ঘরের মালিক শফিল আজম ও তাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে,এতে তারা উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকরা জানিয়েছিলে।”