দেশের বাজারে যখন কোন কিছুর দামই কমানো যাচ্ছেনা ঠিক তখনই মধ্যবিত্তের নাগালে ঈদের জামা কেনার সুযোগ করে দিলো নবীন ফ্যাশন ।বর্তমান পরিস্থিতির মাঝেও পুরান ঢাকার নবীন ফ্যাশন ক্রেতাদের জন্য মাত্র ৩০০ টাকায় পাঞ্জাবি বিক্রি করছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক
হাফেজ এনামুল হাসান জানান, ‘আমার বাবার ব্যবসায়ীক ইতিহাস ধরে রাখতে ও সকলের সখ পূরণের জন্যই সামান্য লাভের এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।’
সরেজমিনে পুরান ঢাকার লালবাগ হরনাথ ঘোষ রোডে নবীন ফ্যাশন প্রধান শাখায় গেলে দেখা যায় পাঞ্জাবি কিনতে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়।পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সুলভ মূল্যে পাঞ্জাবি কিনতে আসছেন নবীন ফ্যাশনে।
জানা যায়, ১৯৮৮ সাল থেকে এই নবীন ফ্যাশন এর যাত্রা শুরু যাত্রা শুরু হয় কাজল মাহমুদ সাহেব এর হাতে বর্তমানে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি স্থানে তাদের শাখা রয়েছে। খুব শিগগিরই আরো ৩৮টি নতুন শাখা চালু করতে কাজ কর যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকায় সর্বমোট ৫০টি শাখা চালু করার পর বাংলাদেশ এর বিভিন্ন জেলায় নিজেদের শাখা চালু করবেন।
৩০০ টাকা থেকে শুরু করে এই দোকানে ৬৩০০ টাকা দামেরও পাঞ্জাবি বেচাকেনা হয়।
পাঞ্জাবি কিনতে আসা এক ক্রেতা সোহেল হাসান জানান, এই দোকানের পাঞ্জাবির দাম অন্য দোকান গুলোর থেকে অনেক কম। মানের দিক বিবেচনায় অনেক উন্নত ,সেই সাথে এখানের কাপড়ের মানও খুব ভালো।তাই আবারও এই দোকান থেকে পাঞ্জাবী কিনতে আসলাম।
নবীন ফ্যাশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ এনামুল হাসান জানান,বাংলাদেশের ঐতিহ্য ,সংস্কৃতি ,ইসলামীক চিন্তাভাবনা থেকেই পাঞ্জাবির ব্যবসা। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি জিনিস পত্রের দাম বাড়তি। যেখানে একটি পাঞ্জাবির মজুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার উপরে যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়
তাই আমরা ৩০০ টাকা দিয়েই সুন্দর একটি পাঞ্জাবি দিচ্ছি । বাংলাদেশের ৯৫% পুরুষ তার আয়ের সব টুকুই পরিবারের জন্য ব্যয় করেন কিন্তু নিজের জন্য বাজেট করার ইচ্ছা করেন না। আমাদের ইচ্ছা সেই সকল পুরুষ কে সামান্য বাজেটে স্মার্ট ভাবে সাজিয়ে তোলা। আমাদের রয়েছে পাঞ্জাবী,পায়জামা,কাবলী সেট ও কটি। আমাদের চাওয়া হলো সবাই যেন পাঞ্জাবী কিনতে পারে এবং প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট করতে পারে। তাই আমাদের ভিশন ২০২৮ সালে বাংলাদেশের সবাইকে আমারা পাঞ্জাবী পড়াতে পারবো। ইনশাআল্লাহ
এখন আমাদের একটাই স্লোগান, সবাই যখন দাম বাড়ানোর কাজে ব্যস্ত ঠিক তখনই আমরা দাম কমানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছি । আর এই প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ আমরা অসহায়দের মাঝে ইফতার ও সেহরি প্রদান সহ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানায় দান করে থাকি।