পাঁচ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের বালুটুঙ্গি এলাকায় নিমার্ণ করা হয় একটি সেতু। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা। তবে সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে এই সেতুতে।
বালুটুঙ্গি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে সেতুর দুই পাশ। সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে শত শত মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে কিন্তু এখনো যোগাযোগ সড়ক করা হয়নি। দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা ছিল। কিন্তু বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে মাটি কেটে গেছে। এখন বাঁশের সাকো তৈরি করে পারাপার হতে হচ্ছে।’
রফিকুল ইসলাম নামের একজন কৃষক বলেন, ‘সেতুটির ওপারে আমার তিন বিঘা জমি রয়েছে। পাট, আখসহ বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ করা হয় সেখানে। কিন্তু গাড়িতে করে ফসল আনা যায় না। এবার বন্যায় ডুবে যাওয়ার কারণে মাথায় করেও ফসল নিয়ে আসতে পারছি না। আমাদের দাবি এই সেতুর দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ করা হোক। এতে স্থানীয়দের ভোগান্তি কমে আসবে।’
দুর্লভপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেতুটির ওপারে অসংখ্য মানুষের ফসলি জমি রয়েছে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় কৃষকরা ফসল আনতে পারছেন না। সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করা খুবই জরুরি।’
এ বিষয়ে দুর্লভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিব বলেন, সেতুটির দুই পাশে মাটি তুলে দেওয়া হয়েছিল। বন্যা ও বৃষ্টিতে কেটে গেছে। পানি কমলে ফের মাটি তুলে দেওয়া হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে সেতুর পাশের মাটি সরে গেছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জাগো নিউজ।