পদ্মা নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে নামলে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেলের ওপর হামলা করে বেশ কিছু অসাধু জেলে । এতে পায়ে সামান্য আঘাত পান উপজেলা নিবাহী এই কর্মকর্তা ।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের ২য় দিনে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহেল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসাইন ও মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাড়ির আইসি মো. জহিরুল হকসহ ফোর্স নিয়ে মাঝিরঘাট থেকে অভিযানে নামে।
অভিযানের ১০ জনকে আটক করা হয় এবং মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত ৩টি ট্রলার ও দুই লাখ মিটার মাছ ধরার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করায় কিছু জেলে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে তারা ট্রলার ও জাল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং ইউএনওসহ অভিযানে অংশ নেওয়া ফোর্সের ওপর হামলা চালায়।
পরে মাঝিরঘাট এসে আটককৃতদের একজনকে দুই মাস আর বাকি সবাইকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া জব্দকৃত ট্রলারগুলো বাজেয়াপ্ত করে নৌ-পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, পাইনপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৪২), বড়কান্দি এলাকার ফজলের ছেলে শানোয়ার (২০), বড় নওপাড়া এলাকার দবির আকনের ছেলে রিয়াদ (২২), আ. বেপারি কান্দির করিম মালতের ছেলে আক্কাস মালত (৪০), একই এলাকার মোকলেছের ছেলে মোক্তার মিয়া (২০) ও আক্কাস মোড়লের ছেলে রাজিব মিয়া (২৮)।
এছাড়া বাওদিয়া এলাকার মালেক বেপারীর ছেলে শাকিল (১৯), ধোলাইপাড় এলাকার কাশেম সরকারের ছেলে মনির হোসেন (২৬), মোহর আলী মাদবর কান্দি এলাকার হান্নান ফকিরের ছেলে সুজাত ফকির (২০) এবং একই এলাকার আ. হান্নান ফকিরের ছেলে বাবুল ফকির (৪০)।
স্থানীয়রা আরো জানায়, অবৈধ কারেন্ট জাল আটকানোয় অসাধু কিছু জেলে ইউএনও এর ওপর হামলা করেছিলো। ইউএনও সারকে ধরতে পারলে আর ফাকা গুলি না ছুড়লে হয়তো তারা আজকে ইউএনও স্যারকে মেরেই ফেলতো।
এ বিষয় জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, আমরা মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিচলনা করছি। এতে ১০ জনকে আটক করি। এক পর্যয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমরা তা প্রতিহত করি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।