হৃদয় এস সরকার,নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে সামিয়া সরকার (১৬) নামে এক কিশোরীকে অপহরণের পর তাকে উদ্ধার করেছে নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৈলাব থেকে অপহরণের ৪০ দিন পর ৫ জুলাই সোমবার দুপুরে মনোহরদী উপজেলার নোয়াদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, (পিবিআই) নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো : এনায়েত হোসেন মান্নানের এক প্রেস প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারী শিশু সি.আর পিটিশন মামলা নং-৭৭-২০২১, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী, ২০০৩) এর ৭-৩০ এর ভিকটিম এক কিশোরীকে অপহরনের চল্লিশ দিন পর উদ্ধার করেছে পিবিআই পুলিশের একটি চৌকস টিম। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়,গত ২৬-০৫-২০২১ তারিখে ভিকটিমের নিজ বাড়ি শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রাম থেকে নিখোঁজের পর তার ভাই আসামী রাশেদসহ অজ্ঞাত নামা তিন-চরজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নরসিংদী আদালতে একটি অপহরণের মামলা করে। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলটি তদন্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করতে নরসিংদীর পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ দেন ।
তারই ধারাবাহিকতায় পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নানের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মো: নাসিমের নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল জেলার মনোহরদী উপজেলার নোয়াদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিম কিশোরী সামিয়াকে উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ভিকটিমের জবানবন্দী প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরন করা হবে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে,স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অত্র মামলার ভিকটিম সামিয়া সরকার শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের যোহর উদ্দিনের মেয়ে। আর মামলার আসামী রাশেদ মনোহরদী উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের শামসুউদ্দিনের ছেলে। তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এর আগে স্বেচ্ছায় তাদের মধ্যে একটি বিয়ে হয়েছিল। পরবর্তীতে মেয়ের বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ার সামাজিক ভাবে তা মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল ।