ফ্রান্সের একজন স্কুল শিক্ষক মহানবী (সঃ )কে ব্যঙ্গচিত্র তৈরীর প্রতিবাদে কেরাণীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কেরাণীগঞ্জের সকল ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা। দেশব্যাপী কর্মসূচী পালনের অংশ হিসেবে তৌহিদী জনতার আয়োজনে আজ ৩০ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম্মা কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভের অংশ হিসাবে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কদমতলীস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম কমান্ডার চত্বর এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরতলীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের কদমতলীতে এসে এক সমাবেশে রূপ নেয় ।
এ সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। পরে চুনকুটিয়া চৌধুরীপারাস্থ বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইত্তেফাকুল ওলামায়ে কেরাম কেরাণীগঞ্জের সভাপতি মাওলানা মো.লোকমান সাদী,সহ-সভাপতি মুফতি মো.আবু তাহের,সাধারন সম্পাদক মাওলানা ফজলুল বারী প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করার জন্য তৌহীদি মুসলিম জনতার প্রতি আহবান জানান । একই সাথে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপন করা, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস সরিয়ে দেয়াসহ সরকারের প্রতি কয়েক দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এসব দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।
উল্লে¬খ্য, গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরচ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন। পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুন প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টর এই অবস্থানের প্রতিবাদে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনসহ নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।