নাসির উদ্দিন,টাংগাইল প্রতিনিধি: ধনবাড়ীতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ধোপাখালী ও ইসলামপুর গ্রামের বয়ে যাওয়া বংশাই নদীর উপর ত্রকটি সেতু নির্মাণ করা হয়।কিন্তু সেতু নির্মাণ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক নেই। এতে বিপাকে পড়েছে দুই পাড়ের গ্রামবাসীরা। এর এক পাশে ধোপাখালী অন্য পাশে ইসলামপুর।
এমনকি যাতায়াতের জন্য কাঠের মই বেয়ে ব্রিজটি দিয়ে পার হতে হয়। মাটি থেকে প্রায় ৯-১০ ফুট উচ্চতায় সেতুতে মই লাগিয়ে ঝুঁকির্পূণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে মহিলা ও শিশুরা।
জানা যায়, সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের মই বেয়েই তারা মাথায় বা কাঁধে করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে শুষ্ক মৌসুমে মই দিয়ে সেতু পার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে পারাপারের জন্য কলা গাছের ভেলা বা সাঁতার কাটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এমনকি মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় পারাপারও।
সেত নির্মাণ হলেও সুফল পাচ্ছেন না ধোপাখালী ও যোদুনাথপুর ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষ ।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাইফুল ই্সলাম বলেন, ৫ বছর আগে সেতু নির্মাণ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় আমরা অনেক অসুবিধায় আছি।
ধোপাখালী ও যদুনাথপুর ইউনিয়ন দুটি কৃষি অঞ্চল। স্থানীয়দের প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত কৃষিপণ্য শাক-সবজি ও সকল ধরনের ফসল কৃষকেরা সেতু দিয়ে পার হয়ে ধোপাখালী বাজারে বিক্রি করতে আসেন।আমরা রাস্তা চাই। ব্রিজ আছে সড়ক নেই রাস্তার দরকার। বতমানে বর্ষাকাল কিছু দিন পর চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে ।
এ বিষয়ে ধোপাখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজহার আলী বলেন, আমি বিষয়টি বারবার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ধোপাখালীর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, আমরা ব্রিজটির রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। যেন দ্রুত করা যায়। এলাকাবাসী রাস্তাটির জন্য ভোগান্তির মধ্যে আছে।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর জানান, সেতুটি এডিপি নির্মাণ করেছে। এখন আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।