প্রায় বিশ হাজার ছাত্র ছাত্রীর চাহিদা মেটাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটিমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। যেটি সিংহ ভাগ শিক্ষার্থীর খাবারের চাহিদা মেটাতে অক্ষম। সেখানে আবার পর্যাপ্ত জায়গার অভাব। এদিকে একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের নেই বৈচিত্রতা। গদবাধা কিছু খাবার পাওয়া যায়,যেগুলোর মূল্য বাইরের অন্যসব হোটেলের মতই। অর্থাৎ দেশের একটি নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দামে কোন ছাড় নেই, মানও ভালো না খুব বেশি।
ক্যাফেটেরিয়ার এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে ছাত্র ছাত্রীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন টিএসসিতে গিয়েও হতাশ হচ্ছে। এখানে ভাতের হোটেলগুলোয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্ন মানের খাবার সরবারহ করা হচ্ছে। যা সবার স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
জবি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই তাই ভুগছে খাবার সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলোতে। যেই ছেলেটা সকাল ৬ টায় বাস ধরে ভার্সিটিতে আসছে তার সকাল এবং দুপুর দুই বেলায় সাধ্য অনুযায়ী মান সম্মত খাবার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য যা আরও কষ্টকর। প্রায়ই পুরান ঢাকার বিভিন্ন জটিলতা যেমন লাইনের গ্যাস না থাকা,পানি না থাকা,রান্না করার বুয়ার অভাব বিভিন্ন কারনে অনেকেরই বাসায় রান্না হয়না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের তখন বাইরেই খেতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া অথবা টিএসসি তাদের পকেটের টাকার বিনিময়ে ভালো মানের খাবার দিতে ব্যার্থ।
এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি জরুরী,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে খুব সহজেই এগুলোর সমাধান করতে পারে কিন্তু তেমন কোন লক্ষন আজ অব্দি দেখা যায়নি। ব্যাপারটা এমন যে এসব দেখার তাদের সময় কই।
শত প্রতিকূলতার মাঝে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করে সফল হচ্ছে। যেই খাবার খেয়ে জীবন বাঁচে সেটার দিকে সবার সুনজর দেওয়া উচিৎ।
লেখক: ফাইয়াজুল আজাদ রুদ্র
শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।