ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় ইয়াবার রমরমা ব্যবসা আগের চেয়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকের বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় ভাসমান জনগোষ্ঠী বেশি হওয়ায় ইয়াবার রমরমা ব্যবসা বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। এ ছাড়া মাদক দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেকে। এই এলাকায় একধিক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী থাকলেও তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়ন,শুভাঢ্যা ইউনিয়ন, কোন্ডা ইউনিয়ন, তেঘরিয়া ইউনিয়ন এবং বাস্তা ইউনিয়ন এই ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা। রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছে হওয়ায় এবং পদ্মা সেতুর কারনে দ্রুত শিল্পায়ন হওয়ায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকাগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কর্ম সংস্থানের আশায় এবং বসবাসের জন্য কেরানীগঞ্জে আসছে। এই ভাসমান জনগোষ্ঠীর একটা অংশ কাজ না পেয়ে এবং ইয়াবা ব্যবসা সহজতর হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ের সাথে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়ছে। ইয়াবার কারনে এই সকল এলাকাগুলোতে ডাকাতি,ছিনতাই, ধর্ষনসহ নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এছাড়া এই এলাকার তরুন সমাজ ও তিলে তিলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন দক্ষিন কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়, ইয়াবার ভয়াল থাবা থেকে বাদ যায় নি এই এলাকার একটি পাড়া বা মহল্লাও, হাত বাড়ালেই হাতের কাছে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা। অনেক এলাকায় পাড়া, মহল্লা অলি গলিতে প্রকাশ্যই চলছে ইয়াবা ব্যবসা। ইয়াবার রমরমা হট স্পট মূলত রিকশার গ্যারেজ, বিভিন্ন মহল্লার অন্ধকার গলি, এবং বিভিন্ন মার্কেটের সিড়িগুলোতে। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যেই ইয়াবা ব্যবসা করছে অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী।
আগানগর ইউনিয়নের নাগর মহল, নামা পাড়া, ইস্পাহানী আবাসিক এলাকা ও আমবাগিচায় মাদকের ছড়াছড়ি। নাগর মহল ও নামাপাড়ায় গার্মেন্টস পল্লী এলাকা হওয়ায় এখানে কয়েক লাখ ভাসমান লোকের বসবাস। যার কারনে এখানে মাদক কেনা বেচার পরিমান ও বেশি। নাগর মহল ও নামাপাড়ায় বিভিন্ন মার্কেটের অলিতে গলিতে এবং মহল্লার গলিতে চলছে প্রকাশ্যই ইয়াবার ব্যবসা। এ সকল এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গেল কয়েক বছর ধরে অনেকটা নিরাপদেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যবসা। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নামাপাড়া ও গার্মেন্টস পল্লীতে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা করছে বুষ্টার শাওন নামে ২১ বছর বয়সী এক কিশোর। ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের জন্য শাওন এলাকায় গড়ে তুলেছে বিশাল এক কিশোর গ্যাং। এলাকাবাসী আরো জানান, এই এলাকায় সমস্ত অপরাধের মূল হোতা এই বুষ্টার শাওন ও তার গ্যাং। এই বুষ্টার শাওন বিভিন্ন সময় নানা অপরাধে গ্রেপ্তার হলেও, তার ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেত তার গ্যাং এর সদস্যরা। শাওন দিন দুপুরে প্রকাশ্য ইয়াবা ব্যবসা করলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপ করেন এলাকাবাসী। নাগর মহল এলাকায় অনেকটা নাম ডাকের সাথে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা করছে ২০ বছর বয়সী কিশোর আমিন ও আমিনের মা আলো। নাগর মহল খোরসেদ মোল্লার বাড়ি নিচতলায় ভাড়া বাড়িতে থেকে বাসায় বসেই এই এলাকায় মাদকের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রন করে মা ছেলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে মাঝে মধ্য পুলিশ আসলেও,পুলিশকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয় আমিন ও আমিনের মা আলো। ইস্পাহানী আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন বাসা বাড়ির ফ্লাটে চলে মাদকের ব্যবসা। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক কেনা বেচার জন্য বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে। সাংকেতিক ভাষা মিলে গেলেই খদ্দেরদের ফ্লাটে ঢুকতে দেয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কেচি শাহ এলাকায় ও রয়েছে ইয়াবার ব্যবসা। আমবাগিচায় বিভিন্ন রিক্সার গ্যারেজে ও গলির মোড়ে মোড়ে চলে ইয়াবার ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে আমবাগিচা ইয়াবার ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কয়েকজন নেতার ক্ষমতা দেখায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমবাগিচা এলাকার কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যাক্তি আড়াল থেকে মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করছে। এসব প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা যখন যে দল আসে সেই দলের ই রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে। ইয়াবার ব্যবসা করতে এরা স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনকে সাথে জড়িয়ে নেয়। গত ১০ বছরে এই সব মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার অবৈধ টাকা দিয়ে আমবাগিচায় গড়ে তুলেছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা।
শুভাঢ্যায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও করছে ইয়াবার ব্যবসা। তবে নারীদের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পুরুষরাই সেল্টার দিচ্ছে। শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চর মীরের বাগ, ইকুরিয়া বেপারী পাড়া, ইকুরিয়া বাজার, চুনকুটিয়া ঢিলাবাড়ি, শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়া,সাতপাখি, কানাপট্টি, জিয়া নগরে দেদারসে চলছে ইয়াবার ব্যবসা। খানবাড়ি এলাকায় জুয়েল নামে এক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যই করছে ইয়াবার ব্যবসা। শূভাঢ্যা আর্মি ক্যাম্পের রোডের শেষ মাথায় ইয়াবার হাট বসে। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাশ দিয়ে আর্মি ক্যাম্পের রোডে যেতে রোডের শেষ মাথায় বসে এ বাজার। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ৩০০ গজ নিকটে ইকুরিয়া পশ্চিম পাড়া ও ইকুরিয়া পূর্ব মধ্য পাড়া এলাকায় রয়েছে ইয়াবার দুটি হটস্পট। ইকুরিয়া পশ্চিম পাড়ায় সুমন (২৫) ও আরমান, মধ্য পাড়ায় আল আমিন ও মোয়াজ্জেম, ইকুরিয়া মুসলিম নগরের লিপু, মীরের বাগ বালুর মাঠ এলাকায় পিন্টু (২৫), ইকুরিয়া টিল্লা বাড়ির পিছনে কাঠাল (২৫/২৭) মীরের বাগ বালুর চর এলাকায় বাপ্পী (২৭) গড়ে তুলেছে ইয়াবার বিশাল ব্যবসা। এসব এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ীরা র্যাবের অভিযানে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হলেও ছাড়া পেয়ে পুনরায় করছে ব্যবসা।
কোন্ডা ইউনিয়নে বিভিন্ন হাউজিং প্রকল্পে ও ভাসমান স্পটে মাদকের কেনা বেচা হয়। দিবালোকে প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় মাদক ডিলারদের ব্যাপক ভয় পায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েকজন মাদককারবারী পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করে। এই সমস্ত সোর্সরা পুলিশকে বিভিন্ন ছোট খাট মাদককারবারী সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করায়। এবং তারা পুলিশের আস্থা অর্জন করে অধরা থেকে যায়। কোন্ডায় হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় আইডিয়াল কিন্ডার গার্ডেনের পাশে বিকালে ইয়াবা কারবারীদের আনাগোনা থাকে। বাক্তারচরে সেলিম ভান্ডারির ইটখোলার পাশে চলে ইয়াবার স্পট। কাউটাইল এলাকায় নদীর পারে মাদকের ছড়াছড়ি, এছাড়া দোলেশ্বর স্কুল মাঠ ও নদীর পাড়ে সন্ধ্যায় ইয়াবার বেচাকেনা শুরু হয়। হাসনাবাদ আলুর কোলেষ্টারে এলাকায় মাদকের জমজমাট কেনাবেচা হয়। দোলেশ্বরে ঠান্ডা বাড়ি এলাকায় কালু ও রকি দুইভাই প্রকাশ্যই করছে ইয়াবার ব্যবসা। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা থাকলেও এরা পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। দোলেশ্বর ফেন্সি বাড়িতে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা করছে শাহিনূর খালা। উনার নামেও রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। ধোলেশ্বর সারবাগ এলাকায় টুকু নামক এক মাদক ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা।
তেঘরিয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর, রাজেন্দ্রপুর, করেরগাও, গৈন্তাবাজার বেদে পল্লী. জেলে পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের স্পট রয়েছে। তবে তেঘরিয়া ইউনিয়নে ইয়াবার ভাসমান স্পট ই বেশি। বিভিন্ন এলাকা থেকে এইসব ভাসমান স্পটে ইয়াবা সেবীরা মাদক ক্রয় করতে আসে। তেঘরিয়ার বিভিন্ন স্পটে যারা ইয়াবা কিনতে আসে, তাদের হাতে থাকে একটি নির্দিষ্ট সাইজের পানির বোতল। এটা তাদের সাংকেতিক চিহ্ন। এই বোতল ছাড়া কারো কাছে ইয়াবা বিক্রি তো দূরে থাক কথাই বলে না মাদক কারবারীরা।
বাস্তা ইউনিয়নে বিভিন্ন অটো রিকশার গ্যারেজে গড়ে উঠেছে ইয়াবার হট স্পট। বাস্তায় এই ইয়াবার টাকা যোগার করাকে কেন্দ্র করে প্রতিরাতে ছিনতাই চুরি বেড়ে গেছে। বাস্তার, দড়িগাও, ভাওর ভিটি, বেরিবাধ, রাজাবাড়ি, গোয়ালখালি বাজারে ইয়াবার দেদারসে কেনাবেচা হচ্ছে। বাঘাপুড় বালুর মাঠ এলাকায় সন্ধ্যার পরে রীতিমত ইয়াবার হাট বসে।
ইয়াবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া তরুন তরুনীরা। রাতের আধার নামার সাথে সাথে নেশার আধারে নিমজ্জিত হওয়ার জন্য উতলা হয়ে থাকে এখানকার অনেক তরুন। এইসব তরুন তরুনীদের জন্য চরম উদ্বেগ- উৎকন্ঠায় সময় পাড় করছে অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মানুষ। পরিচয় গোপন রেখে এই প্রতিবেদকের কথা হয় কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে। এ সকল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াবাকে ডাকা হয় বাবা নামে, ফেনসিডিলের সাংকেতিক নাম ফেনু, গাজাকে বলা হয় সিদ্ধি/কল্কি। সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হয় ইয়াবা। ইয়াবা বেশি বিক্রির কারন হিসাবে বিক্রিতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথমত এটির দাম কম, ফেনসিডিলের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়, সহজেই বহন করা যায় । দ্বিতীয়ত ইয়াবা খেলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। গল্পের এক পর্যায়ে তারা জানান, কয়েক বছর আগেও এখানকার নেশার বাজার ছিলো ফেনুর (ফেনসিডিলের) দখলে। কিন্তু এখন ইয়াবা এক চেটিয়া আধিপত্য রয়েছে এখানে। রাজধানী থেকেও অনেকে কেরানীগঞ্জে আসে ইয়াবা সংগ্রহ করতে। মাদক ব্যবসায়ীরা আরো জানান, ফেনসিডিল আনতে পিকআপ , প্রাইভেট কার অথবা ট্রাকের দরকার হতো। অন্যদিকে ইয়াবা সহজেই বহনযোগ্য, বিভিন্ন অভিনব কায়দায় কয়েক হাত বদল হয়ে টেকনাফ কক্সবাজার থেকে ইয়াবা তাদের কেছে পৌছায় বলে জানায় তারা।
এ বিষয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান বলেন, যারা এলাকায় মাদক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে। আমাদের পাশাপাশি র্যাব ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযান করছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এদের প্রায়শই এরেস্ট করা হয়। আবার জামিন নিয়ে আসে। চলতি মাসে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় প্রায় ৪০-৫০ টি মাদক মামলা করা হয়েছে। শুধু ইয়াবা না কেরানীগঞ্জে সব ধরনের মাদক ই রয়েছে। ৪০ -৫০ টা মামলায় আমরা হয়তো ৪০ ৫০ জনকে এরেস্ট করতে সক্ষম হই। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী আরো রয়েছে। একটা পুকুরে অ।নেক মাছ থাকলে জাল দিয়ে কিন্তু সব মাছ ধরা সম্ভব নয়। মেক্সিমাম মাছ কিন্তু পুকুরে থেকেই যায়। মাদক ব্যবসায়ী যারা সবাইকে এট এ টাইম আইনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। মাদক ব্যবসায়ীদের এরেষ্ট করা চলমান পক্রিয়া। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যস্ত থানা। এখানে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লী, জেলখানা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন স্থান রয়েছে। এখানে ভাসমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই এই থানার কর্মব্যস্ততা বেশি। নানান কর্মব্যস্ততা স্বত্তেও এই থানায় মাদক নিয়ন্ত্রনে অভিযান নিয়মিতই হচ্ছে। একটা থানায় মাসে ৫০ টা মাদক মামলা হওয়া একেবারে খারাপ কিছু না। যে সকল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এখোনো ধরা পরে নাই, তারা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহবুদ্দিন কবীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে যখন ই আমরা কোন গোয়ান্দা তথ্য পাচ্ছি, তাৎক্ষনিক ভাবে ঐ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনতেসি। ঢাকা জেলা নতুন এসপি স্যার যোগদানের পরে আমরা প্রচুর পরিমান মাদক মামলা নিয়েছি এবং রিকভারি সহ আটক করেছি । র্যাব তো অনেক মাদক মামলা দিচ্ছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তের কোন মামলা নেই। গত ২/৩ মাসে ওরা কোন মাদকের মামলা দেয় নাই। অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী সম্পর্কে খবর পাওয়ার সথে সাথে আমরা যাই, তাকে ধরি, তাকে চেক করি, তার বাড়িঘর চেক করি। কিন্তু কোন কিছু উদ্ধার করতে পারি না। যখন আমরা কিছু উদ্ধার করতে পারি না, তখন আমরা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না। এখানে আইনগত কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অনেকেই বলে ও ইয়াবা ব্যবসায়ী, কিন্তু বলার উপর ভিত্তি করে প্রমান ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় না। আবার অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা খবর পেয়ে যায় পুলিশ আসতেসে তখন তারা তাদের জিনিস সরিয়ে ফেলে , আমরা ধরতে পারি না। মাদক নিয়ন্ত্রনে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।