করোনাভাইরাসের কারনে সারা দেশের ন্যায় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে খাদ্য কষ্টে আছে জনসাধারন। গত ১ মাস ধরে দেশের সকল অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পরেছে অসহায় ও গরীব জনগন। সরকার দেশের নিন্মবিত্ত পরিবারগুলো কে খাদ্য সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে অনেক দানবীর ও সমাজসেবকও। তেঘরিয়া ইউনিয়নের অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাড়িয়েছে তেঘরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হাজী জজ মিয়ার ছেলে মো: রায়হান মিয়া।
মো: রায়হান মিয়া তার পিতার নামে তৈরী হাজী মো: জজ মিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিন তেঘরিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে কর্মহীন অসহায় মানুষ এবং মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে ঘরে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পেীঁছে দিচ্ছে।
জজ মিয়া ফাউন্ডেশনের স্বেচ্চাসেবীরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. রায়হান মিয়ার নেতৃত্বে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। তারা রুটিন করে অসহায় পরিবারগুলোর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রত্যেকের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে সহযোগীতা পৌছে দিয়েছেন তারা।
মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো সাধারনত নিজেদের কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারে না। রায়হান মিয়া নিজ উদ্দ্যোগে সেচ্ছাসেবীদের দ্বারা তেঘরিয়া ইউনিয়নের কষ্টে থাকা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চিহ্নিত করে গোপনে তাদের বাসায় খাবার পাঠাচ্ছেন।
রায়হান মিয়ার এই দানশীল কার্যক্রমে খুবই সন্তুষ্ট এলাকার সকলে। এলাকার বেশ কয়েকজন বয়েজেষ্ঠ মুরব্বীর সাথে কথা হলে তারা জানান, রায়তান তার বাবার মতোই সুযোগ্য এবং দানশীল হয়েছে। তার বাবা মরহুম জজ মিয়া চেয়ারম্যান যেমন তেঘরিয়া ইউনিয়নবাসীর যে কোন বিপদে আপদে পাশে দাড়াতো। বাবা মারা যাওয়ার পরে রায়হান ও অল্প সময়য়েই তেঘরিয়া ইউনিয়নবাসীকে সেভাবেই আপন করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে হাজী মো. জজ মিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. রায়হান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকার দেশের এই দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে জনগনকে সহায়তা করছে। সরকারের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জে নসরুল হামিদ বিপু ও শাহীন আহমেদ তাদের ব্যাক্তিগত উদ্দ্যাগো অসহায়দের সহযোগীতা করছেন। তাদের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের ও এগিয়ে আসতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে তেঘরিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু পরিবারের পাশে দাড়াতে পেরে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে। যতদিন দেশের এই করোনা পরিস্থিতি ভালো না হবে ততদিন তেঘরিয়াবাসীর জন্য যতটুকু পারি খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাবো। আমি আমার বাবার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই এ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করেছি।
তিনি আরো জানান, তেঘরিয়া ইউনিয়নকে ঘিরে আমার বাবার অনেক স্বপ্ন ছিলো বেশ কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ইন সা আল্লাহ সকলের সহযোগীতা নিয়ে আমি বাবার স্বপ্ন পূরন করবো এবং সকল কাজ সমাপ্ত করবো। #