করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।ডেঙ্গু জ্বরে যখন সারাদেশ কাঁপছে তখন ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা দমনে উদ্যোগ নিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মাঞ্জা’। সংগঠনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকরা মশক নিধন ওষুধ ছিটাচ্ছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে সরকার এবং সেবা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ডেঙ্গু বিপর্যয় ঠেকাতে তাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
মাঞ্জা’র এই কার্যক্রম দেখে সেসব এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা জানানো হয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবকরা মশক নিধনের ওষুধ ছিটাচ্ছে এমন কার্যক্রম বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মশক নিধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, সেবা সংস্থাগুলোর দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের আশপাশে প্রতিদিন অন্ততঃ পাঁচ মিনিট সময় দিলেই ডেঙ্গুর প্রজনন বন্ধ করা সম্ভব।
মশক নিধনের কার্যক্রম উদ্ভোধন করেন মাঞ্জা’র সন্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের নির্বাহী সচিব জনাব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ( রিন্টু )। তিনি বলেন, “সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসে আর সচেতন হয় তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
সংগঠনের সদস্য সহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন ‘আমরা প্রথমে এলাকাবাসীকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করেছি। মাইকিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানিয়েছি। এরপরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী কী করতে হবে, ডেঙ্গু হলে এর প্রতিকারে করণীয় বিষয়াদি সম্পর্কে বুঝিয়েছি। এ সম্পর্কিত লিফলেটও আমরা জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদে এবং এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করেছি।
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে অবস্থিত শিংটোলা এলাকায় পবিত্র জুম্মার নামাজ শেষে লিফলেট বিতরণ করে মশক নিধন ওষুধ ছিটিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেখানে আরো বলা হয় মাঞ্জা’র অর্থায়নেই এই কার্যক্রম করা হয়েছে। এই ধরনের কর্মসূচি তারা ডেঙ্গু প্রকোপকালীন সময়ে অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়।