ফরিদুল আলম:
টেকনাফে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারিরীক নির্যাতনে ও স্বামীর পরকিয়ায় বাঁধা দেয়ায় অন্তস্বত্বা ফাতেমা ইয়াছমিন (২৫ ) নামের এক গৃহবধুর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর ও শারিরীক নির্যাতন চালিয়েছে তার শশুর বাড়ির লোকজন। এতে করে নির্যাতনের ফলে নষ্ট হয়ে গেছে ওই গৃহবধুর গর্ভে থাকা ৪ মাসের সন্তান। উপজেলার হ্নীলা আলীখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোক্ত নরপশু ওই এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, মারধর ও শারিরীক নির্যাতনে ফাতেমা ইয়াছমিনের গর্ভপাত হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুিত চলেছ বলে জানায়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগদ রাত ৭টার সময় স্বামী মোহাম্মদ ইদ্রিসের সাথে স্ত্রীর কথাকাটাকাটি হয়। এসময় ননদ নূর কলিমা ও দেবর মোহাম্মদ ইব্রাহীমসহ নরপশু স্বামী অন্তস্বত্বা স্ত্রী ফাতেমা ইয়াছমিনকে বেধড়ক মারপিঠ করলে তার গর্ভপাত হয়। এ বিষয়ে স্বামী মোহাম্মদ ইদ্রিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্ত্রীকে একটি চড় দেয়ার কথা স্বীকার করলেও বেধড়ক মারপিটের কারণে গর্ভপাতের কথা অস্বীকার করেন।