বিশেষ প্রতিবেদক:
টেকনাফের বাহারছড়ায় একটি চক্র জমি ব্যবসায়ীর নিকট মোটাংকের টাকা চাঁদা দাবী করে না পেয়ে ভোগ দখলীয় জমি জোরপূর্বক সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে জবর-দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ,টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালীর আবুল বশরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম এর ক্রয়সুত্রে ভোগ দখলীয় শীলখালী মৌজার জেএল নং-১,বি,এস খতিয়ান নং-৮৭৯, বি,এস দাগ নং-৩০১৮, ৩০১৯, ৩০২২, ৩০২৩ হতে ০.৭৯১২ একর সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে। ৮এপ্রিল দুপুরে মনোয়ারা বেগমের স্বামী আবুল বশর হ্নীলায় শ্বাশুড় বাড়িতে গমনের সুযোগে স্থানীয় ছৈয়দুল ইসলামের পুত্র আনিসুল ইসলাম সোহেল, শাহাব মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, মৃত জাফর আলমের পুত্র রেজাউল করিম, সিরাজুল হকের পুত্র আব্দুল আওয়াল ও শাহাব মিয়ার পুত্র জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি মানব ও মাদক পাচারকারী চক্র উপরোক্ত জমিতে সাইন বোর্ড লাগিয়ে জবর-দখলে নেয়।
উক্ত জবর-দখলের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান,উক্ত জমিতে সোহেল গংয়ের কোন স্বত্ব নেই। কি কারণে অপরের জমিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিল কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।
জবর-দখলের বিষয়ে অভিযুক্ত আনিসুল ইসলাম সোহেলের নিকট জানতে চাইলে বলেন,আমি ম্যাকডোনাল্ড কোম্পানীর লোকজনের সাথে উক্ত জমি ক্রয়ের জন্য লিখিত হোক আর মৌখিক হোক বায়না করেছি তাই সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছি। মনোয়ারা বেগমের স্বত্ব দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, উপযুক্ত কাগজ দেখাতে পারলে সাইনবোর্ড তুলে নেব।
এই বিষয়ে জমির মালিক মনোয়ারা বেগমের স্বামী জমি ব্যবসায়ী আবুল বশর জানান,আমি হ্নীলায় শ্বাশুড় বাড়িতে আসি। দুপুরে খবর পেলাম আনিসুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ আমার স্ত্রীর ভোগ দখলীয় জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জবর দখলে নেয়। উক্ত জমিসহ আমার ৫০কানি প্লটের জমি রয়েছে। আর সে যে ম্যাকডোনাল্ড কোম্পানীর কথা বলছে তাদের জমি মুলত আমি দেখাশুনা করি। এই সোহেল কিছুদিন আগে একটি মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জমি ব্যবসা নিরাপদে করতে হলে ৩০লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। শেষ পর্যন্ত চাঁদা না পেয়ে এই ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে। যা খুবই ন্যাক্কারজনক। আমি উক্ত বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।