মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ,(জাবি প্রতিনিধি): ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলিতে ৪জন নিহত সহ ১৫ গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিচার ও ভুক্তভোগী পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঠাকুরগাও জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদমিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগনের সাথে বৈরীতা পোষন করে আসছে। ঘুষের বিনিময়ে চোরাকারবারীদের গরু পাচার, ইয়াবা পাচার, পণ্য পাচার সহ যাবতীয় অবৈধ চোরাকারবারীতে বিজিবির সহযোগীতা থাকে। লোক দেখানো নিরাপত্তা দিতে গিয়ে বার বার এলাকার মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা করে তারা। ‘
তিনি আরও বলেন যে দেশে মানুষের কষ্টের অর্থে লালিত সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে দেশের মালিক জনগন নিহত হয় সেদেশে এটা নৈরাজ্য ছাড়া আর কী হতে পারে?’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে ঠাকুরগাও জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১। নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিপথগামী বিজিবি সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩। আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। সীমান্তে সকল প্রকার মাদক ও গরু চোরাচালান বন্ধ করতে হবে এবং এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।
৫। সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় মানুষ ও বিজিবির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৬। পুলিশ কেন গ্রামবাসীর মামলা গ্রহণ করেনি তার জবাবদিহি করতে হবে।
৭।বিজিবির দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে চোরাই গরু সন্দেহে বিজিবি গ্রামবাসীদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীদের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজিবি গুলিবর্ষণ করলে নবাব, সাদেক ও জয়নুল সহ ৪ গ্রামবাসী নিহত এবং ১৫জন গুলিবিদ্ধ হন।