জাবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, (জাবি প্রতিনিধি): ‘গণমাধ্যম, প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান- ২০১৮।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকতা বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু।

বক্তব্যের শুরুতে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা অাজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক জীবনের গন্ডি পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছো, তোমাদের জীবন মাত্র শুরু। এখন জীবন যুদ্ধে নামবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য।”

সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সাবাদিকতার শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তথ্য সমৃদ্ধ হতে হবে। কর্ম জীবনে সৎ ও কর্মঠ হতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে যাচাই বাছাই ছাড়া কোন তথ্য প্রকাশ যাবে না। ভুল তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। একটি ভুল তথ্য সারা জীবনের বর্জ্য। নানা কারনে গুজব ছড়ানো হয়, তাই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সত্যি না জানলে চুপ থাকতে হবে, কিন্তু মিথ্যা বলা যাবে না।’

সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ব্যবহার ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি এসে সাংবাদিকতার পুরো ধরনটাই চেঞ্জ করে দিয়েছে। বর্তমানে যে সাংবাদিকতার ধরণ এখন চলছে আগামী দশ বছর পরে এসে এ সাংবাদিকতার ধরনও থাকবে না। এখন আর কাগজ কলমে সংবাদ লিখতে হয় না। প্রযুক্তি আমাদের একসময় এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যা কল্পনাতীত।’

বিভাগের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান।

অধ্যাপক কামরুল আহছান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাত্র চারজন শিক্ষক নিয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ বিভাগটি প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিভাগের এই তরুণ শিক্ষকদের পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবলের কারণে বিভাগে কোন সেশনজট তৈরি হতে দেয়নি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি নেচারের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি তথ্যসমৃদ্ধ থাকে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। তথ্যসমৃদ্ধতার কারনে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে।’

উদ্বোধন ও আলোচনা পর্ব শেষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল দুপুর ৩টায় বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ এবং সবশেষে সন্ধ্যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

হুমায়ূন আহমেদের গল্প-স্মৃতি ‘কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে’

এই নন্দিত লেখকের বই পড়েননি, কিংবা তাঁর টেলিভিশন নাটক দেখেননি- বাংলাদেশে কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে …

error: Content is protected !!