জবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত হকার্সদের নিকট থেকে চাঁদবাজির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন। এদিকে অভিযোগ এর ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে দাবি এসকল এলাকার হকার্স ব্যবসায়ীদের।
হকার্স ইউনিয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত সময়ে দল বেঁধে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নাম ভাঙিয়ে অর্থ উত্তোলন করা হয়। দাবিকৃত টাকা না দিলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এসকল অভিযোগের সূত্র ধরে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও সদরঘাট এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, হকার্স ইউনিয়ন নামে কোন সংগঠন আছে বলে তাদের জানা নেই। ফল ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, এখানে এমন কোন সংগঠন নেই, আমরা এমন কোনো অভিযোগও দেইনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নামে কেউ টাকা নেয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ব্যবসা করলে টাকা দিয়েই করতে হয় কিন্তু কোন ছাত্র আমাদের থেকে টাকা নেয় না। এখানের লাইনম্যান আছে তারা টাকা উত্তোলন করে। আরেক ফল ব্যবসায়ী মোশাররফ বলেন, আমাদের কাছ থেকে আগে টাকা নিত কেউ কেউ, এখন আর কেউ আসেনা আসলেও আমরা দেই না।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, এগুলো ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। যেদিন থেকে ইশরাকের সাথে আমাদের ঝামেলা হয়েছে সেদিন থেকে আমাদের পিছনে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অভিযোগ যখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তখন হকার্স নেতারা আমাদের জানাতে পারত কিন্তু তারা আমাদের জানায়নি এমনকি আমাদের সাথে কখনো যোগাযোগও করেনি। হকার্সদের এরকম কোনো সংগঠন আছে বলেও আমাদের জানা নেই।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, শাখা ছাত্রলীগের কেউই এসবের সাথে জড়িত নয়, যদি কেউ জড়িত থাকে আমাদের জানানো হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন, এ চিঠিতে আমরা বিব্রত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউ এসবের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যদিও কেউ থেকে থাকে আমাদের জানানো হলে আমরা নিজেরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, স্থানীয় হকাররা আমাদের দুইমাস আগে ওই অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের কাছে চাঁদা নেয়া হয় আর মারধর করা হয়। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। কার কাছে চিঠি জমা দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পিএম অফিসে চিঠি রেখে এসেছি। কারও পরিচয় জানি না, ফোন নাম্বারও নেই।