ফেরদৌসী তামান্না,জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দর্শন বিভাগে নতুন একটি রক্তদান সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। সংকটকালীন মুহুর্তে মানুষকে অতি দ্রুত রক্ত প্রদানের জন্যই এই সংগঠন গড়া হয়।
রক্তদান সংগঠনটির নাম philosophy Blood Donares Socity (PBDS)। যার স্লোগান, Be the reason for someone ‘s existance. তাদের এই কার্যক্রম শুধুমাত্র নিজেদের ডিপার্টমেন্টেই না বরং এর বিস্তৃতি হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং সাধারণ মানুষদের জন্যেও। যে কারো রক্তের প্রয়োজন হলে পোস্ট করতে পারবে উক্ত গ্রুপে।
এ সম্পর্কে দর্শন বিভাগের ছাত্র জুয়েল মোল্লা জানায়, সংকটকালীন সময়ে ব্লাড রিলেটেড পোস্টে তেমন কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না। আবার ব্যক্তিগতভাবে কেউ কারো মত দিতে চাইলেও পাবলিকলি সেটা দিতে ইতস্তত বোধ করেন। অন্য কেউ দিয়ে দিবে এই মনোভাব পোষণ করার ফলস্বরূপ দেখা যায় সংকীর্ণ সময়ে একজন মুমূর্ষু রোগীর জন্য ব্লাড মেনেজ করা আরো কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। এ সমস্যাকে মাথায় রেখেই আমরা দর্শন বিভাগ চাচ্ছি একটা সংগঠন গড়ে তুলতে। যেখানে সকল ব্যাচ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করছি।
তিনি কার্যক্রম সম্পর্কে আরো বলেন যে, সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হবে সিআরদের সহযোগিতায়। তাদের সেই তথ্য রাখা হবে গুগল ফর্মে যার একটি হার্ডকপি সেমিনার রুমে জমা রাখা হবে। সংকটকালীন সময়ে যে গ্রুপের ব্লাডের প্রয়োজন হবে সেই গ্রুপের ব্লাড ডোনারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হবে।এতে করে বিভিন্ন জায়গায় ডোনার খুঁজে বেড়াতে হবে না এবং ডোনার পাওয়া সহজ হবে।
এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে দর্শন বিভাগের সকল শিক্ষক শিক্ষিকার সহযোগিতায়।তাই ব্যক্তিগত তথ্য অন্যত্র ছড়নোর কোন সম্ভাবনাও নেই। অতি শীগ্রই চলতি ব্যাচ থেকে নতুন একটি কমিটি গঠন করা হবে যেন সংগঠনটি এর কার্যক্রম অতি দ্রুত ব্যাপক হারে সাধারণ মানুষের উপকারে আসতে পারে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দর্শন বিভাগের এই উদ্যোগের ফলে দুর্ভোগের হাত থেকে বেঁচে যাবে হাজারো মানুষ।মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে রক্তদান করতে উদ্বুদ্ধ করা এই সংগঠনের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য বলেও জানা যায়।এটি একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন। আর এই সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার্থীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবে বলেও জানায়।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তারা এই রকম একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য হতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। এই সংগঠনের মাধ্যমে তারা নিজ উদ্যোগে রক্ত দিতে পারবে এবং মানুষ হয়ে মানুষের বিপদে সাহায্য করতে পারবে।