জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের’ উদ্যোগে বিদ্যার্থীবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে যাচ্ছে৷ আগামী শনিবার (পহেলা এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
এদিন সকাল ১০টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সকাল ১০টা ১৫মিনিট থেকে পবিত্র গীতা ও বেদপাঠ, ধর্মীয় ভজন সংগীত, শিক্ষকবৃন্দ এবং অতিথিদের বক্তব্য সেশন, বিদ্যার্থী বরণ,ধর্মীয় আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে পর্যায়ক্রমে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ বেতারের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী, একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব (২০২৩) শ্রী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন দৈনিক কালবেলার সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা, প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী দেবাশীষ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী সাগর দাস হিমেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. শ্রী অরুণ কুমার গোস্বামী, বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রী মিলন কান্তি শর্মা, শ্রী রতন চন্দ্র পাল, শ্রী প্রবীর কুমার সাহা, শ্রী আর ডি রনি, শ্রী ঝন্টু কুমার সাহা এবং প্রধান আলোচক শ্রী কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী উপস্থিত থাকবেন।
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী দেবাশীষ চন্দ্র শীল বলেন,সবাই চায় আমাদের নতুন জায়গায়,নতুন প্রাঙ্গণে,জীবনের নতুন এক প্রগতিশীল ধাপ শুরু করার পূর্বে তাদের বরণ করে নেয়া হোক।মূলত এই আয়োজনই নবীনদের নবপথের সূচনার আলোর পথের দিশারী হয়ে থাকবে। আমি মনে করি সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের নীতি ও আদর্শ যে কেউ মনে ধারণ করলে একজন মানুষ আদর্শবান হয়ে উঠবে।সবার কল্যাণ হোক।
সাধারণ সম্পাদক শ্রী সাগর দাস হিমেল বলেন, আমি মনে করি একটি আয়োজনের মাধ্যমে নতুন বিদ্যার্থীদের বরণ করা হলে তাদের মধ্যে আমাদের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের প্রতি জানার আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে। জ্ঞান, সংস্কার ও ঐক্যের মূলনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে বিদ্যার্থীরা আরো সুশীল ও সুন্দর মননের মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।যে স্বপ্ন আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে পাই,সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও অসাম্প্রদায়িক সোনারবাংলা গড়ার উজ্জীবিত প্রাণেরা আমাদের সকলের অধিকার রক্ষায় ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশকে নিয়ে যাবে এক নতুন মাত্রায়। যেখানে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জাতিসংঘ দেখে সেখানে আমরা সনাতনীরাও শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই সমাজের প্রতিটি স্তরে।পৃথিবীতে শান্তির বৃক্ষ রোপিত হোক।ওঁ শান্তি!