ছাত্র শব্দটি দেশ ও জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। আজকের ছাত্ররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি দেশেই ছাত্ররা সরকারিভাবে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। আবার দেশের নিতীনির্ধারকগণ কোন নিয়ম বা আইন পাশ করার আগে ছাত্রদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে আইন পাশ করেন। কেননা ছাত্র আন্দোলন একটি দেশের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছাত্র আন্দোলন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
শ্রমিক শব্দটি একটি দেশের ফুসফুস হিসেবে বিবেচিত। শ্রমিক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। শ্রমিকদের ঘামের বিনিময়ে চলছে আমাদের দেশের অর্থনীতি। একটিদেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হিসেবে শ্রমীকরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রমিক এবং ছাত্র তাদের রাস্তা ভিন্ন।তবে মাঝেমধ্যেই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাদের দ্বন্দ্ব। ছাত্র ও শ্রমিকদের শত্রুতার সূত্রপাত ঘটে মূলত কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যাক্তবর্গের স্বর্থের জন্য।
তাঁরা ছাত্রদের বিভিন্ন উপায়ে উঙ্কে দেয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। কেননা ছাত্র আন্দোলন সরকার পতনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ছাত্র ও শ্রমীকদের পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বর্থ হাসিলে ব্যাস্ত থাকে ভন্ড রাজনৈতিক নেতারা। এছাড়াও ভন্ড ছাত্র নেতাদের মদদে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ছাত্র ও শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
ভন্ড রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য কখনো ছাত্রদের ব্যবহার করে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে আবার কখনো শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ছাত্রদের উপর শ্রমিকদের উস্কে দেয়। তাই এই উস্কানির উর্ধ্বে উঠে ছাত্র ও শ্রমিকদের মধ্যে সুন্দর মেলবন্ধন প্রতিষ্ঠিত হোক দ্রুত।
লেখক: রকি মেরাজ
শিক্ষার্থী
নৃবিজ্ঞান বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়