নিউজ ডেস্ক: কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের সাথে কখনো যোগাযোগ হয়নি বলে দাবি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ঐ যে একটা কথা আছে ‘কান নিয়ে গেল চিলে’ আমি তো আর চিলের পেছনে দৌঁড়াই না। যেখানে নতুন ক্যাম্পাসের কাজের বিষয়ে আমার কারও সাথে কোন কথাই হয়নি সেখানে হুমকি কোথা থেকে আসবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবিয়ানস ফেসবুক পেজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজের টেন্ডারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন হুমকি দিয়েছেন লেখা একটি পোস্ট শেয়ার করা হলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
এজন্য উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষকে হুমকির প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচিতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। অথচ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের ভাষ্যমতে উনাদেরকে শাহিন চেয়ারম্যান বা তার পক্ষে কারো দ্বারা কোনপ্রকার হুমকি দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে শাহিন চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যু তৈরি করে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। আর এই কাজে আড়াল থেকে সাপোর্ট দিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিক্রিয়াশীল মহল।
কিন্তু মানববন্ধনের মূল বিষয়বস্তু উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি হলেও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তারা।
শাহিন চেয়ারম্যান কর্তৃক হুমকি অস্বীকার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাকে এ বিষয়ে শাহিন চেয়ারম্যান বা তার হয়ে কেউ কোন হুমকি দেয় নি, এটা নিয়ে কেন মিথ্যে কথা বলবো? যারা গুজব রটাচ্ছে যে, ভিসি-ট্রেজারারকে হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করো, তাদের উদ্দেশ্য কি তা তাদের কাছ থেকে জানো।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করবে। সেখানে কাজ দ্রুত করার জন্য প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে দেয়ার বিষয়েও বলা হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে
[sharethis-inline-buttons]