চুয়াডাঙ্গায় শাহিন হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
সাজা প্রাপ্ত আসামি হলন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আজিজ বিশ্বাসের ছেলে আলম বিশ্বাস।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের দুই ছেলে শাহিন ও রাসেল বিশ্বাসের সাথে একই গ্রামের ডালিম বিশ্বাসের সাথে পূর্ব বিরোধ ছিল। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল সকালে ডালিম বিশ্বাস গ্রামে প্রকাশ্যে বসে গাঁজা সেবন করছিল বিষয়টি রাসেল বিশ্বাস দেখে নিষেধ করে। এরই জের ধরে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাসেলের ছোট ভাই শাহিনও ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয়রা উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে শাহিনকে একা পেয়ে লোহার রড, বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে আলম বিশ্বাস, তার ছেলে ডালিম বিশ্বাসসহ বেশ কয়েক জন মিলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার এসআই আবু জাহের ভূইয়া দুই জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সোমবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসামির উপস্থিতিতে ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আলম বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অন্য আসামি ডালিম বিশ্বাসকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
সূএ:সময় নিউজ ।